ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কলাপাড়া-কুয়াকাটায় ইয়াবাসহ মাদকের আগ্রাসন

প্রকাশিত: ২১:০১, ২৮ অক্টোবর ২০১৬

কলাপাড়া-কুয়াকাটায় ইয়াবাসহ মাদকের আগ্রাসন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ কলাপাড়া-কুয়াকাটায় ইয়াবা-গাজার আগ্রাসন ঠেকাতে পুলিশ প্রশাসন মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। ঠিক সেই মুহুর্তে খোদ মহিপুর থানার বকশি কনেস্টবল মাহমুদুল হাসান (কং-পটুয়াখালী ৩৯৩) ইয়াবাসহ ঢাকার তেজগাও থানা পুলিশের হাতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেফতারের খবরে কলাপাড়ার কুয়াকাটাসহ গোটা উপকূলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। চলছে নানামুখি আলোচনা-সমালোচনা। উপজেলার প্রত্যেকটি আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা ইয়াবা-গাঁজাসহ মাদক ব্যবসা বন্ধে ব্যাপক আলোচনা ও সুপারিশ করে যাচ্ছেন। পুলিশও অভিযানের মাত্রা বাড়িয়েছে। গ্রেফতার করছে বিক্রেতাদের। জব্ধ করছে ইয়াবা-গাঁজা। কিন্তু মূল হোতারা ধরা-ছোয়ার বাইরে থাকায় মাদকের আগ্রাসন থামছে না। ঠিক সেই মুহুর্তে পুলিশের ইয়াবাসহ আটকে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কলাপাড়া ও মহিপুর থানা পুলিশ সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে অন্তত ১৯ জনকে ইয়াবা-গাঁজা-মদসহ গ্রেফতার করেছে। কিন্তু বিক্রি থামছেনা। আড়ালে-আবডালে আবার কখনও প্রকাশ্যে চলছে এ মাদক ব্যবসা। বর্তমানে স্কুলগামী কিশোর-তরুন থেকে যুবসমাজ মাদকের ছোবলে ধ্বংস হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। উদ্বিগ্ন রয়েছেন অভিভাবকরা। এমনকি ইয়াবা-গাঁজা ব্যবসার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে অতি সম্প্রতি কলাপাড়া পৌর শহরের সিকদার বাড়ি সড়কে দুই দল সরকার সমর্থক সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ইয়াবা-গাঁজার সবচেয়ে রমরমা ব্যবসা চলছে মহিপুর-আলীপুর মৎস্য বন্দর এবং পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায়। কলাপাড়া থানার ওসি জিএম শাহনেওয়াজ জানান, কলাপাড়ায় মাদকের ব্যবসা নির্মূলে পুলিশি ব্যাপক অভিযানের পাশাপাশি সামাজিকভাবে সচেতনতামূলক সভাও করা হচ্ছে। প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণকে মাদক বিক্রেতার সঙ্গে জড়িতদের তালিকা গোপনে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। যে কোন মূল্যে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করার প্রত্যয় তিনি ব্যক্ত করেন। তবে মহিপুর থানার অধীন কুয়াকাটাসহ মহিপুর-আলীপুরে ইয়াবার ব্যবসা চলছে দেদারছে। আলীপুরের এক রোহিঙ্গা পরিবারের বিরুদ্ধে ইয়াবাসহ গাঁজা বিক্রির এন্তার অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় এক রাজনীতিক তার নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে ইয়াবাসহ মাদকের আগ্রাসনে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা চরম উৎকন্ঠায় রয়েছেন।
×