অনলাইন ডেস্ক॥ লাঞ্চের তখন মিনিট ১৫ বাকি। লঙ্কান আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনার কারণে কেঁপে গেল বাংলাদেশ! কিন্তু তামিম ইকবাল কাঁপলেন না। বেন স্টোকসের বলে তাকে কট বিহাইন্ড দিয়েছেন ধর্মসেনা। রিভিউ নিলেন তামিম। গেল টেস্টে অসংখ্য ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে বারবার রিভিউর পর শুধরে নেওয়া ধর্মসেনাকে আরেকবার 'স্যরি' বলতে হল!
রিভিউটা ছিল বলেই বাংলাদেশ ঢাকা টেস্টের প্রথম সকালে লাঞ্চে গেল বেশ হাসতে হাসতে। ২৮ ওভারের প্রথম সেশনে রান উঠেছে প্রায় ওয়ানডের মতোই। ১ উইকেটে ১১৮ রান নিয়ে বিরতিতে যাওয়া তামিম (৬৮) ও মুমিনুল হকের (৪৪) কাছে লাঞ্চের খাবার খুব মজার হওয়ারই কথা! তাদের জুটিটা ১১৭ রানের, অবিচ্ছিন্ন। সিরিজে বাংলাদেশের প্রথম শতরানের জুটি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গেল ৩ ওয়ানডে ও এক টেস্টের পর টস জিতল বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম দেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৫০তম টেস্ট খেলছেন। যেটিতে টস জিতে ব্যাটিং নিলেন অধিনায়ক। আর কি টসটাই না জিতলেন মুশফিক! আগের ২৪ ঘণ্টায় বেশ বৃষ্টি হলেও মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ড্রাই উইকেট প্রথম দিকে ব্যাটসম্যানের বন্ধুই থাকার কথা ছিল। তাই হয়েছে।
কিন্তু দল ও নিজের ১ রানের সময় ওপেনার ইমরুল কায়েক খুব বাজে শট খেলে ফিরেছেন। তৃতীয় ওভারের ওই ধাক্কা কাটাতে থাকেন মুমিনুল ও তামিম। ২০তম বলে প্রথম রান নেন তামিম। প্রথম ১১ বলের মধ্যে ৩টি চার মারেন মুমিনুল। এরপর ভিন্ন চিত্র। তামিম খোলম থেকে বেরিয়ে এসে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন। ৬০ বলে তুলে নেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি ফিফটি। সেখানে ৭টি চারের মার। ১৫তম ওভারেই এসেছে তার হাফ সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ টেস্টে এখন তামিমের ৬ ফিফটি। ২ সেঞ্চুরি। চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৭৮।
ঠাণ্ডা মাথার মুমিনুলও কম যাননি। তামিমের সাথে সাবলীল ভাব পেরিয়ে যাওয়া ১০০ রানের জুটি ভালো ভিত্তি দিয়েছে দলকে। যেটি ধরে রাখতে পারলে বড় সংগ্রহ গড়া যেতেই পারে। প্রথম সেশনে তামিম-মুমিনুলের ১১৭ রানের অবিচ্ছিন্ন উইকেট জুটি। দ্বিতীয় সেশনে তামিমের সামনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি সেঞ্চুরির হাতছানি। ফিফটির অপেক্ষায় মুমিনুল।