নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ২৭ অক্টোবর ॥ লালমনিরহাটে অস্ত্র তৈরির সময় আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুজনকে আটকের জের ধরে রাত নয়টার পর থেকে আকস্মিক বাস, ট্রাক অবরোধ কর্মসূচউ দিয়েছে শ্রমিক লীগ নেতারা। পাটগ্রামের বুড়িমারী পুলিশ ফঁভড়ি দখলে নিয়েছে সরকারী দল সমর্থিত নিশাদ গ্রুপ। এ ঘটনায় পাল্টা জবাব দিতে সরকার সমর্থিত মিঠু গ্রুপ পাটগ্রাম থানা ঘেরাওয়ের চেষ্টা করে। পাটগ্রামে দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার দুপুরে পাটগ্রামের বুড়িমারী বাজারে কামারের দোকানে শতাধিক ধারাপলো অস্ত্র তৈরির সময় পুলিশ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রুমেল (৩৫) ও অস্ত্র তৈরির কামার হাফিজুল মিয়াকে (৪০) আটক করেছে। উদ্ধার হয় শতাধিক ধারালো অস্ত্র। ৩১ অক্টোবর বুড়িমারী ইউপি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে সহিংসতায় এসব অস্ত্র ব্যবহার করা হতো বলে মিঠু গ্রুপ দাবি করেছে। এদিকে রুমেলকে ছেড়ে দিতে সরকারী দলের একটি প্রভাবশালী মহল জোর তদবির করে। কিন্তু রাত নয়টা পর্যন্ত তাকে পাটগ্রাম থানা হতে ছেড়ে না দেখায় উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃস্টি হয়। পাটগ্রামে আওয়ামী লীগ দুই গ্রুপে বিভক্ত। এক গ্রুপ ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী মিঠুকে সমর্থন করে পাটগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল করে থানা ঘেরাওয়ের চেষ্টা করে। অন্য গ্রুপটি বিদ্রোহী প্রার্থী নিশাদের পক্ষ নিয়ে বুড়িমারীতে বিক্ষোভ করে। নিশাদ গ্রুপ বুড়িমারী পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে নিয়েছে বলে খবর প্রচার হয়েছে। তারা পুলিশ ফাঁড়ি দখলে নিয়ে রুমেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে। আর মিঠু গ্রুপের সমর্থকরা পাল্টা পাটগ্রামে বিক্ষোভ করেছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একটি গ্রুপ রুমেলকে ছেড়ে দিতে বাস, ট্রাক অবরোধ করেছে। রাত নয়টার পর থেকে শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড়ের রাস্তা যানবাহন দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ঢাকাসহ দূরপাল্লার গাড়িগুলো আটকা পড়েছে। রাস্তার দুই ধারে বাস, ট্রাক, পিকআপসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। তবে বাস, ট্রাক শ্রমিক লীগের নেতারা বাস, ট্রাক আকস্মিক অবরোধ করার ঘটনাটি শ্রমিক আন্দোলনের ১২ দফা দাবি আদায় ও রাস্তাঘাট ত্রুটিপূর্ণ বলে দাবি জানান।