ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২৮ অক্টোবর ২০১৬

উবাচ

সঙ্গে নিন স্টাফ রিপোর্টার ॥ আর একলা চলছে না। আবার যারা আগে থেকে রামপাল নিয়ে আন্দোলন করছে তারাও ধারে কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছে না। সঙ্গত কারণে বিএনপি এখন ব্যাকুল রামপাল ইস্যুতে তাদের সমর্থন পেতে অথবা নিজেদের উজাড় করে দিতে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রামপাল প্রকল্পের বিষয়ে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু করা যাবে না। বিএনপির সমর্থন নিয়ে রামপাল বিদ্যুত প্রকল্পবিরোধী আন্দোলন বেগবান করুন। ফখরুল বলেন, শ্রদ্ধেয় আনু মুহাম্মদ সাহেবরা যে আন্দোলন করছেন, আমরা তাকে সমর্থন করি, আমরা সমর্থন দিয়েছি। তাদের উচিত হবে আমাদের সমর্থনটাকে গ্রহণ করা এবং সমগ্রজাতিকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এগিয়ে আসা। তিনি বলেন, অনৈতিক সরকার নির্বাচনের নাটক করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। তাই তারা জোর করে সুন্দরবন ধ্বংসকারী এই বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক জলবায়ু নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের দুই বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। সেখানে এখন আমরা নিজেরাই জলবায়ু, পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছি। মির্জা ফখরুলের বক্তব্য থেকে বিষয়টি কি দাঁড়াচ্ছে! রামপাল প্রকল্পর কথা বিশ্বব্যাংক না জেনেই টাকা দিচ্ছে? বক্তব্যটি হাস্যকর এই কারণেই, রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র বিশ্ব ব্যাংকের গাইড লাইন মেনে নির্মাণ করা হচ্ছে। ভদ্রলোক? স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে যাওয়ার শেষ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। খবর রটেছে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতকে আমন্ত্রণ না জানানোতে বিএনপি শেষ পর্যন্ত কাউন্সিলে যেতে পারেনি। আগের দিন সুর নরম মুখে মুখে পরম সহিষ্ণুতার কথা বলে কেন কাউন্সিলে গেলেন না এমন প্রশ্নে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলছেন, যা হচ্ছে সেখানে ভদ্রলোক কি করে যাবে। এর মানে কি আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে যারা এসেছেন দেশ বিদেশের তারা কী? আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে না যাওয়াকে ‘সঠিক’ আখ্যা দিয়ে কারামুক্ত রিজভী বলেন, আমাদের দলের চেয়ারপার্সনকে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করেছে, আমাদের কাউন্সিল ঘিরে যা করেছে আর এখনওতো কথায় কথায় নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চলছে। এরপরও একজন ভদ্রলোক কি করে তাদের কাউন্সিল গিয়ে বক্তব্য রাখবেন, যদি তার ন্যূনতম মেরুদ- থেকে থাকে। কাউন্সিলের আমন্ত্রণ পাওয়ার পর দলের মহাসচিব সরাসরি না যাওয়ার বিষয়ে কিছু বলেননি। এমনকি তিনি নব নির্বাচিত আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিন্দনও জানিয়েছেন। তুলো- ঠুলি- কুলো স্টাফ রিপোর্টার ॥ কাউন্সিলের নানা বিষয়ে সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও জনপথমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির এ সম্মেলন সম্পর্কে বিদেশী প্রতিনিধিদের প্রশংসা বাক্যগুলো কি শোনেনি? কানে দিয়েছে তুলো, চোখে দিয়েছে ঠুলি এবং পিঠে বেঁধেছে কুলো। কাজেই তারা এগুলো বুঝবে কেমন করে? বাংলাদেশের জনগণ এ সম্মেলনকে কী চোখে দেখছে, সেটা হচ্ছে বড় কথা। বিএনপি এখন হতাশ, বিপর্যস্ত একটা দল, যে দল শুধু ঘরে বসে প্রেস ব্রিফিং করে। তাদের জনগণের সঙ্গে কোন সংযোগ নেই। আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে নিয়ে বিএনপি বলছে তাতে কিছু যায় আসে না, বরং জনগণ এই সম্মেলনকে কীভাবে দেখছে, সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই দলের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং বিদেশী অতিথিরাও এর প্রশংসা করেছেন বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক। তিনি অভিযোগ করেন, হতাশ ও বিপর্যস্ত রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতারা এখন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন নিয়ে কটূক্তি করছেন।
×