ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আগামী কয়েক বছরেই শতভাগ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে ॥ অর্থ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ২৮ অক্টোবর ২০১৬

আগামী কয়েক বছরেই শতভাগ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে ॥ অর্থ প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারের মনোযোগ বর্তমানে বিদ্যুতের দিকে। এরই মধ্যে সারা দেশে ৮০ ভাগ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাকি বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে ডরপের সহায়তায় বাংলাদেশ ওয়াশ এ্যালায়েন্স আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৬ অর্জনে বেসরকারী উদ্যোক্তাদের ভূমিকা: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের উন্নয়নে সকল কাজ দ্রুত করে যাচ্ছে। নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থায় যে সমস্যা রয়েছে তা সমাধানেও কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কোন কাজ ঝুলিয়ে রাখেন না। তিনি আজকের কাজ আজকেই শেষ করতে চান। আর এ বিষয়েও তিনি অবগত। মাঠে-ময়দানে ছড়িয়ে থাকা যেসব সংস্থা এ বিষয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে তাদের মাধ্যমে দেশ উপকৃত হচ্ছে বলেও জানান অর্থ প্রতিমন্ত্রী। দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে অভ্যন্তরীণ সমস্যা হিসেবে জঙ্গীবাদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমাদের দেশের কিছু যুবক ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে। উন্নয়নে বাধা দিতে চেয়েছে তবে সরকার শক্তভাবে তা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। এমএ মান্নান বলেন, আজ যে সমস্যা নিয়ে আমরা কথা বলছি। এটি ছোট পরিসরে প্রাইভেটভাবেও সমাধান করতে পারি। অনেক গ্রামে দেখি তরুণরা একটা ডিশ লাইনের মাধ্যমে কেবল লাগিয়ে গ্রামের সকল পরিবারে সংযোগ দিচ্ছে। নিরাপদ পানির জন্যও এমন ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সেমিনারে বক্তারা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে নিরাপদ পানির আওতার বাইরে থাকা দুই কোটি ৮০ হাজার ও উন্নত স্যানিটেশন সুবিধার বাইরে ৬ কোটি ২৪ লাখ মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপের পর মাত্র ৪০ ভাগ পরিবার পয়ঃনিষ্কাশনে পানি ও সাবান ব্যবহার করছে। তবে এখনও এক লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ খোলা জায়গায় মলত্যাগ করছে। এক্ষেত্রে এসডিজি অর্জনে বেসরকারী উদ্যোক্তা তৈরিতে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিসহ প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের পরামর্শ দেন বক্তারা। এর আগে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কতিপয় উদ্যোক্তা তাদের কর্ম অভিজ্ঞতার নানা বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন। সেমিনারে বাংলাদেশ ওয়াশ এ্যালায়েন্সের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর অলক কুমার মজুমদার বলেন, বর্তমান জনসংখ্যার ২৮ ভাগ যৌথভাবে আধাপাকা ও ১০ ভাগ সাধারণ পায়খানা ব্যবহার করছে। যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাধা হিসেবে কাজ করছে। বেসরকারী পর্যায়ে উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে এই বাধা দূর করা সম্ভব। সংসদ সদস্য নুরজাহান বেগম মুক্তা বলেন, দেশে মাথাপিছু আয় বাড়ছে। গড় আয়ু বাড়ছে। স্বাস্থ্য খাতে আমরা সামগ্রিক উন্নতি লাভ করছি। তিনি আশা প্রকাশ করেন সরকার, উদ্যোক্তা, উৎপাদক এবং গণমাধ্যম সবার প্রচেষ্টায় ’৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ৮৭ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানি পান করে এবং ৯৯ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন ধরনের স্যানিটেশন ব্যবহার করে। সবার মধ্যেই সচেতনতাও বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এমডিজিতে ভাল করেছি এসডিজিতেও ভাল করব। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ, বিশ্বব্যাংকের পানি ও স্যানিটেশন স্পেশালিস্ট রোকেয়া আহমেদ, সিইজিআইএসের ডিরেক্টর এটিএম শামসুল আলম ও ডরপের গবেষণা প্রধান মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান। বাংলাদেশ ওয়াশ এ্যালায়েন্সের চেয়ারপার্সন ও ওয়াটার এইডের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খায়রুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন র্ডপের চেয়ারম্যান আযাহার আলী তালুকদার ও নেদারল্যান্ডস ওয়াশ এ্যালায়েন্স ইন্টারন্যশনালের কান্ট্রি লিড সারা আহরারি।
×