ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

বাংলাদেশে ব্যবসা সহজ হয়েছে

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ২৮ অক্টোবর ২০১৬

বাংলাদেশে ব্যবসা সহজ হয়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে ব্যবসা পরিস্থিতি গত এক বছরে আগের চেয়ে সহজ হয়েছে বলে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যবসা সহজীকরণের তালিকায় দুই ধাপ এগিয়ে ১৭৬তম অবস্থানে অবস্থান করছে। এ তালিকায় আগে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৭৮তম। বিশ্বব্যাংকের ‘ডুয়িং বিজনেস-২০১৭ : সবার জন্য সমান সুবিধা’ শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। গত ২৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাংক এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। জানা গেছে, ১৯০টি দেশে জরিপ চালিয়ে ব্যবসা সহজীকরণের ওপর বিশ্বব্যাংক ‘ডুয়িং বিজনেস-২০১৭ : সবার জন্য সমান সুবিধা’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যবসা সহজীকরণে দুই ধাপ এগিয়েছে। একই সঙ্গে উন্নতি হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানেরও। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবারও সহজে ব্যবসা পরিচালনায় বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষস্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। এরপর রয়েছে- সিঙ্গাপুর, ডেনমার্ক, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন ও মেসিডোনিয়া। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় বিনিয়োগের জন্য পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ভুটান। এছাড়া ভুটান ৭৩তম, নেপাল ১০৭তম, শ্রীলংকা ১১০তম, ভারত ১৩০তম, পাকিস্তান ১৪৪তম এবং আফগানিস্তান ১৮৩তম অবস্থানে রয়েছে। তবে আফগানিস্তান ব্যবসা সহজীকরণে কোন অগ্রগতি হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে এক শ’ পয়েন্টের মধ্যে বাংলাদেশের অর্জন ৪০ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট। নতুন ব্যবসা শুরু করতে এখানে ৯টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। যে কারণে বাড়ছে বিজেএমসির লোকসানের বোঝা অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেষ পাঁচ বছরে পাঁচটি বন্ধ পাটকল চালুর সঙ্গে ৩৫ হাজার শ্রমিককে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। যে পদক্ষেপকে সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ বলা হলেও বাস্তবে তা এখন পাট খাতের জন্য পরিণত হয়েছে গলার ফাঁসে। এমনকি বেশিরভাগ সময় কর্মহীন প্রায় ২২ হাজার শ্রমিককে শুধু বেতন ভাতা দিতেই বছরে ব্যয় আড়াইশ’ কোটি টাকা। যেটিকে সম্পূর্ণ অপচয় মনে করলেও শ্রম আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে শ্রমিক ছাঁটাই কঠিন বলেই মনে করছে সরকার। শ্রমিকরা কাজ করছেন খুলনা অঞ্চলের একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন পাটকল জুট টেক্সটাইল মিলসে। যেখানে দিন এবং রাত দুই শিফটে কর্মরত আড়াইশ’ শ্রমিক প্রতিদিন উৎপাদন করছে প্রায় ৩৫ টন রফতানিযোগ্য সুতা আর চটের বস্তা। এবার ঘুরে আসা যাক সরকারী পাটকল দৌলতপুর জুট মিল থেকে। যেখানে বেসরকারী মিলের মতো একই মেশিনগুলোর কোনটিতে কাজ করছেন ৩ জন আবার কোনটিতে ৫ জন। সব মিলে হাজার খানেক শ্রমিক দুই শিফটে পাটকলটিতে দৈনিক উৎপাদন করছে মাত্র ৯ টন পাট পণ্য। আর এসব কারণেই শুধু গত তিন বছরেই বিজেএমসির লোকসান ৭০০ কোটি টাকা, এরপরও সংস্থাটির মাথায় চেপে আছে বাড়তি প্রায় ৬ হাজার শ্রমিক কর্মচারীর পাওনা পরিশোধের বোঝা।
×