ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

১৪শ’ কোটি ডলারের প্রকল্পে পাকিস্তানকে সহায়তা দিচ্ছে না এডিবি

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২৮ অক্টোবর ২০১৬

১৪শ’ কোটি ডলারের প্রকল্পে পাকিস্তানকে সহায়তা দিচ্ছে না এডিবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বার্তাটি কি ইঙ্গিতবাহী? বারবার আর্জি জানানোর পরও নিজের ভূখ-ে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিগুলো নির্মূল করার ব্যাপারে ইসলামাবাদকে তেমন সক্রিয় করতে না পারায় কী পরোক্ষে পাকিস্তানের ওপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির আন্তর্জাতিক প্রয়াস শুরু হয়ে গেল? তেমনই ইঙ্গিত মিলল এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সাম্প্রতিক পদক্ষেপে। আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে বরাবরই যারা অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে, সেই এডিবির প্রেসিডেন্ট তাকেহিকো নাকাও জানিয়ে দিলেন, পাকিস্তানে ১৪০০ কোটি ডলারের বাঁধ নির্মাণে অর্থ সাহায্য করা এখন সম্ভব হচ্ছে না। ওই প্রকল্পের বিপুল ব্যয়ভারই এ সিদ্ধান্তের কারণ। গত বুধবার মধ্য এশিয়া আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা পরিষদের (সিএআরইসি) মন্ত্রী পর্যায়ের পঞ্চদশ বৈঠকের পর পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এডিবির প্রেসিডেন্ট নাকাও বলেছেন, ‘আমরা ওই প্রকল্পে অর্থ সাহায্যের ব্যাপারে আগে কোন অঙ্গীকারও করিনি। এটা বিপুল ব্যয়ভারের প্রকল্প। তাই কোন সিদ্ধান্তও নিতে পারিনি। গিলগিট-বাল্টিস্তানে সিন্ধু নদীর ওপর দিয়ামার-ভাসা বাঁধটি হলে তার থেকে কী কী সুবিধা পাওয়া যেতে পারে, তা খতিয়ে দেখছিল একটি মার্কিন সংস্থা ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড)। কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোন চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যায়নি। তবে এটা ঠিক, পাকিস্তানের শক্তি উৎপাদন ও সেচ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এ বাঁধটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে ওই প্রকল্প শুরুর জন্য অনেক অর্থলগ্নি সংস্থার সাহায্য নিতে পারে পাকিস্তান। পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী এডিবি ওই প্রকল্পের শরিক হতে পারে।’ পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, এভাবে ‘বল’টা পাকিস্তানের ‘কোর্টে’ই পাঠিয়ে দিল এডিবি। প্রকারান্তরে বুঝিয়ে দিল, জঙ্গী দমনে ইসলামাবাদ কী ব্যবস্থা নেয়, তার ওপরেই অনেক কিছু নির্ভর করছে! বেহাল দশা বরিশাল বিসিকের অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বেহাল দশা বরিশাল বিসিকের। শিল্পোদ্যোক্তাদের অভিযোগ, ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না তারা। রাস্তা একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী। নেই ড্রেন ও পানির সুব্যবস্থা। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নাজুক। এসব সমস্যার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিল্পের প্রসার। সমস্যা সমাধানে ডিপিপি হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান বিসিক কর্মকর্তারা। ১৯৬০ সালে বরিশাল নগরীর কাউনিয়ায় ১৩০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় বিসিক শিল্প নগরী। এখানে প্লটের সংখ্যা ৪৪৬টি। এখানে ১শ’ ভাগ রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু এই বিসিক থেকে ন্যূনতম সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ শিল্প মালিকদের। এছাড়া নানা কারণে বিসিকের শিল্প উদ্যোক্তারা ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়। এদিকে সমস্যা সমাধানে ৫৬ কোটি টাকার ডিপিপি দেয়া হয়েছে।
×