ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্যাকেজ ভ্যাট কমানোর দাবি

২ নবেম্বর দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা ব্যবসায়ীদের

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২৮ অক্টোবর ২০১৬

২ নবেম্বর দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা ব্যবসায়ীদের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্যাকেজ ভ্যাট কমানোর দাবিতে ফের আন্দোলনে নামছেন ব্যবসায়ীরা। আন্দোলনকে সামনে রেখে নতুন কর্মসূচী ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের নেতারা। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২ নবেম্বর রাজধানীর সব দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচীর ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতারা জানান, গত বাজেটে এই ভ্যাটের পরিমাণ দ্বিগুণ করে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলা হয়েছে। বিশেষ করে ছোট ছোট দোকানে এ কারণে খরচ বেড়ে যাবে অনেক। এ ধর্মঘটের আগে ৩০ অক্টোবর মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। এসময় ব্যবসায়ীরা জানান, গত অর্থবছরে প্যাকেজ ভ্যাটের পরিমাণ ১৪ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। দ্বিগুণ হারে ভ্যাট আরোপ হওয়ায় ব্যবসার খরচ বেড়ে গেছে অনেক। ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবু মোতালেব বলেন প্যাকেজ ভ্যাট আগের মতো বহাল রাখতে। এছাড়া ভ্যাট কর্মকর্তাদের হয়রানি বন্ধের দাবিতে আগামী ২ নবেম্বর প্রতীকী ধর্মঘট পালন করা হবে। এসময় আরেক ব্যবসায়ী নেতা আবুল কাসেম খান জানান, আমাদের দাবি ছিল উৎপাদন বা আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট নেয়া হোক। সরকার আমাদের কথাও দিয়েছিল। কিন্তু অর্থমন্ত্রী খুচরা পর্যায়েও ভ্যাট আরোপ করেছেন। প্যাকেজ ভ্যাট ছাড়াও বার্ষিক টার্নওভার ৩৫ লাখ টাকার বেশি হলে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। আবার প্রতিমাসে টার্নওভারের হিসাব জমা দিয়ে সনদ নিতে হয়। এ সময় যে হিসাব জমা দেয়া হয় সরকারী কর্মকর্তারা তা মানতে চান না। অনেক সময় ঘুষ দিতে হয় তাদের। সরকার ভ্যাট আরোপ করেছে, তবে আমরা তা দেব না। আমরা আন্দোলন করলে ভ্যাট আদায় কিছুটা বন্ধ রাখে, আবার আন্দোলন বন্ধ রাখলে ভ্যাট আদায়ের কথা বলে। আমরা এর একটি অবসান চাই। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আব্দুস সালাম, সংগঠনের সমন্বয়কারী গিয়াস উদ্দিনসহ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত সোমবার এফবিসিসিআইয়ের সভাকক্ষে ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পুরান ঢাকা ব্যবসায়ী নেতা, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালকরা এবং সভাপতি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক ব্যবসায়ী নেতা জানান, চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রতিকেজি ১০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের পাউরুটি, বনরুটি, হাতে তৈরি কেক, বিস্কুট এবং ১২০ টাকা পর্যন্ত রবারের হাওয়াই চপ্পল, প্লাস্টিকের পাদুকার ওপর ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়ায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ভ্যাট কর্মকর্তা ব্যবসাস্থলে হানা দিয়ে খাতাপত্র জব্দ করে নিয়ে যাচ্ছেন। এসব পণ্যসামগ্রীর মূল ক্রেতা হচ্ছে নীচু শ্রেণীর জনগণ। ভ্যাট আরোপ করায় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এতে চাহিদা কমছে। আর ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
×