ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর দিল্লী সফর শ্রিংলা-শহীদুল হক বৈঠক

প্রকাশিত: ০৮:২০, ২৭ অক্টোবর ২০১৬

প্রধানমন্ত্রীর দিল্লী সফর শ্রিংলা-শহীদুল হক বৈঠক

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে ঢাকা-দিল্লীর মধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আগামী ৩-৪ ডিসেম্বর ভারতে এই দ্বিপক্ষীয় নিয়ে উভয় দেশই তৎপরতা শুরু করেছে। এ লক্ষ্যে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। সূত্র জানায়, বুধবার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। এক ঘণ্টারও বেশি সময়ের এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সফর সামনে রেখে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের ঢাকায় আসা ও পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের ভারত সফরের বিষয়েও আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে দুই দেশের মধ্যে কি কি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে, তা নিয়েও তারা আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লী সফরের জন্য প্রাথমিকভাবে ডিসেম্বরে ৩-৪ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে ওই সময়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত যাবেন। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগেই দুই দেশের মধ্যে যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ঢাকায় আসতে পারেন। সে সময়ে শেখ হাসিনার সম্ভাব্য ভারত সফরের ক্ষেত্রও প্রস্তুত হতে পারে। বিশেষ করে তিস্তা চুক্তি সইয়ের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সামনে রেখে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকও দিল্লী যেতে পারেন। গত ১৬ অক্টোবর গোয়ায় ব্রিকস-বিমসটেক আউটরিচ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে ভারত সফর হবে মোদি সরকার ক্ষমতায় বসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। যদিও ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির স্ত্রীর মৃত্যুর সময়ে শেখ হাসিনা সংক্ষিপ্ত সফরে দিল্লী গিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে সন্ত্রাস দমনে দুই দেশ পরস্পরকে সমর্থন করছে। গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর মোদি এক বার্তায় শেখ হাসিনার পাশে থাকবেন বলে অঙ্গীকার করেন। কাশ্মীরের উরিতে ভারতের সেনাক্যাম্পে হামলার পর শেখ হাসিনা হামলার নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাস দমনে ভারতের পাশে থাকার কথা বলেন। তবে দুই দেশের মধ্যে প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তি এখনও সই হয়নি। বাংলাদেশ আশা করছে, দুই দেশের মধ্যে তিস্তা চুক্তিও সই হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী ডিসেম্বরে দ্বিপক্ষীয় সফরে ভারত যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সফরের বিষয়ে দুই দেশ এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও তিনি জানান। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দিতে ডিসেম্বরে ভারতে আসছেন। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই ভারতের এখন শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগও বাড়ছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০১৭ সালে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেয়ার বিষয়টিও ভারত সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।
×