ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা

অভিনব কায়দায় জালিয়াতির চেষ্টা ॥ যুবক কারাগারে

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৭ অক্টোবর ২০১৬

অভিনব কায়দায় জালিয়াতির চেষ্টা ॥ যুবক কারাগারে

রাবি সংবাদদাতা ॥ বুকের কাছে বিশেষ কায়দায় বাধা ফোনসেট। শার্টের পকেটে ছোট ছিদ্র করে সেখানে ফোনের ক্যামেরা সেট করা। ছিদ্র ঢাকা থাকে শার্টের বাড়তি অংশ দিয়ে। শার্টের পকেটের কাছের ওই অতিরিক্ত অংশ সরালেই ক্যামেরা দিয়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তা পাঠানো যাবে জালিয়াত চক্রের কাছে। এরপর সেই প্রশ্নের সমাধান করে পাঠানো হবে বিভিন্ন ভর্তিচ্ছুর কাছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার এই অভিনব কায়দায় জালিয়াতি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে চক্রের এক সদস্য। ‘এইচ’ ইউনিটভুক্ত প্রকৌশল অনুষদের পরীক্ষা চলাকালে আশিক আহমেদ নামের ওই জালিয়াতকে গ্রেফতার করা হয়। আশিক বগুড়ার আজিজুল হক কলেজের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বগুড়ার সাজাহানপুর থানার মাঝিরা গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। রাবি উপ-উপাচার্য চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, আশিকের ফোনের সঙ্গে হেডফোন লাগানো ছিল। হেডফোনের একটা অংশ তার প্যান্টের পকেটে থাকত। ওই হেডফোনের বাটনে একটা চাপ দিলে ক্যামেরা চালু হয়। দ্বিতীয় চাপে ছবি ওঠে। আর তৃতীয় চাপে ওই ছবি নির্দিষ্ট ঠিকানায় চলে যায়। এভাবে আশিক তিন চাপে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ছবি বাইরে জালিয়াতি চক্রের কাছে পাঠানোর চেষ্টা করছিল। তার কাজই হচ্ছে জালিয়াতি চক্রের কাছে ছবি পাঠানো। আর ওই জালিয়াতি চক্র হয়ত প্রশ্নপত্রের সমাধান করে অন্য পরীক্ষার্থীদের উত্তর পাঠানোর চেষ্টা করত। জানা যায়, আশিক একই ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর রোল নম্বর ব্যবহার করে চারটি ইউনিটে ফরম তোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টার সেটি ধরে ফেলে। এজন্য রাবি প্রশাসন তাকে ধরতে বিশেষ নজর রাখে। মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এইচ ইউনিটের পরীক্ষা দিতে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বিজ্ঞান ভবনের ২২৩ নম্বর কক্ষে গেলে তাকে আটক করা হয়। প্রতি পরীক্ষার জন্য আশিক ১০ হাজার করে টাকা পেত বলে জানা গেছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরে প্রশিক্ষণ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ের সেমিনার কক্ষে ‘পিপিআর এবং পিপিএ’বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধন করেন ইমরান (অতিরিক্ত সচিব), প্রকল্প পরিচালক, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ আলতাফ হোসেন (অতিরিক্ত সচিব)। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সাউথ এশিয়ান ট্যুরিজম ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক আবুবকর সিদ্দিক (উপসচিব), উপ-পরিচালক (প্রশাসন) গাজী মোঃ ওয়ালি-উল-হক, উপ-পরিচালক (প্রকাশনা) ড. মোঃ আতাউর রহমান প্রমুখ। -বিজ্ঞপ্তি
×