ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বিসিপিএস সমাবর্তনে প্রধানমন্ত্রী ॥ জানালেন প্রত্যেক বিভাগে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হবে

রোগীকে পরিবারের সদস্য মনে করে সেবা দিন

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ২৭ অক্টোবর ২০১৬

রোগীকে পরিবারের সদস্য মনে করে সেবা দিন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে চিকিৎসকদের আরও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যুগোপযোগী করার জন্য আমরা ১৫ বছর মেয়াদী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এ লক্ষ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি কাজ করছে। আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি চিকিৎসকদের আরও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিসিপিএস এই মানবসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স (বিসিপিএস)’র ১৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি চিকিৎসকদের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘আপনারা রোগীদের চিকিৎসা সেবাটা ভালভাবে দেবেন। একটা কথা মনে রাখবেন ওষুধের চাইতে একজন ডাক্তারের মুখের কথাতেই অর্ধেক অসুখ ভাল হয়ে যায়। কারণ আমরা তো রোগী হই, মাঝে মাঝে এটা বুঝি। প্রতিটি রোগীকে নিজের পরিবারের একজন সদস্য মনে করে সেভাবে সেবা প্রদান করতে হবে। কারণ বাংলাদেশকে আমরা আত্মমর্যাদাশীল ও আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’ প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক বিভাগে একটি করে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথাও উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিত্তবানদের সংখ্যা বাড়ছে। তারা এই অর্থ-সম্পদ নিজের কাছে না রেখে চিকিৎসা সেবায় যথেষ্ট অনুদান দিতে পারেন। নিজের নামে একটা ওয়ার্ড করে দিতে পারেন, এ্যাম্বুলেন্স দিতে পারেন। লাইব্রেরীটা উন্নত করে দিতে পারেন। তিনি বলেন, চিকিৎসা শুধু একটি পেশা নয়, একটি মহান ব্রত। আপনারা নিষ্ঠা ও মেধা প্রয়োগ করে বিশেষজ্ঞ হয়েছেন। আর্ত-পীড়িতদের সেবাদানের জন্য সামর্থ্য অর্জন করেছেন। এখানেই শেষ নয়, আপনাদের মধ্যে সেবাদানের মনোভাব তৈরি করতে হবে। ১৯৭২ সালের ৮ অক্টোবর তৎকালীন পিজি হাসপাতাল এবং আজকের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতার দেয়া একটি ভাষণের উদ্ধৃতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ডাক্তার, আপনাদের মন হতে হবে অনেক উদার। আপনাদের মন হবে সেবার। আপনাদের কাছে বড় ছোট থাকবে না। আপনাদের কাছে থাকবে রোগ, কার রোগ বেশি, কার রোগ কম। তাহলেই তো সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন হবে এবং মানুষের মনের আপনারা সহযোগিতা পাবেন।’ প্রধানমন্ত্রী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এফসিপিএস এবং এমসিপিএস ডিগ্রী অর্জনকারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাঝে সনদ এবং কৃতী শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বর্ণপদক বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব এবং সমাবর্তন বক্তৃতা প্রদান করেন বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ান্স (বিসিপিএস) সভাপতি অধ্যাপক মোঃ সানওয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। স্বাগত বক্তৃতা করেন কলেজের সাবেক সভাপতি এস এ এম গোলাম কিবরিয়া। অনুষ্ঠানে বিসিপিএস সভাপতি অধ্যাপক মোঃ সানওয়ার হোসেন সমাবর্তনে সনদ লাভকারী শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। আমরা বিজয়ী মহান জাতি। কারও কাছে মাথা নত করে আমরা চলব না। হাত পেতে চলব না। মর্যাদা নিয়ে বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলব। এটাই আমার একমাত্র কামনা- সর্বক্ষেত্রে নিজেদের আমরা একটা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করব এবং বাংলাদেশ হবে জাতির পিতার কাক্সিক্ষত ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব থেকে মেধাবী যারা, তারাই তো মেডিক্যালে পড়তে যায়। মেধাবীদের তাদের মেধা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে সহযোগিতা করতে হবে। জনসংখ্যার তুলনায় দেশে চিকিৎসকের সংখ্যা কম হওয়ায় যে জটিলতা তৈরি হয়, সে কথাও তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৬ কোটি মানুষের দেশ। সে তুলনায় ডাক্তারের সংখ্যা অত্যন্ত কম, নার্সের সংখ্যা আরও কম। এ রকম একটা পরিবেশে মন-মানসিকতা ঠিক রেখে চিকিৎসা দেওয়ায় যে প্রচ- একটা প্রেশার থাকে, সেটা আমরা বুঝতে পারি। তারপরও চিকিৎসকরা তাদের মানবিক গুণাবলী দিয়ে সেই চ্যালেঞ্জ জয় করতে পারবেন বলে আমি আশাবাদী। শেখ হাসিনা বলেন, উচ্চ শিক্ষার জন্য আমরা সব সুবিধা নিশ্চিত করে যাচ্ছি। একের পর এক বিশেষায়িত হাসপাতাল করে দিচ্ছি। আপনারা এসব সুবিধা কাজে লাগিয়ে জ্ঞান অর্জন করেন, রোগীদের সর্বোত্তম সেবা দেন- এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তিনি বলেন, জাতির পিতা চিকিৎসকদের মর্যাদা ১ম শ্রেণীতে উন্নীত করেছিলেন। তাঁরই পদাংক অনুসরণ করে তিনি সেবিকাদের মর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করেছেন। তিনি বলেন, জাতির পিতার দর্শন ধারণ করেই তাঁর সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর দেশে প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করি। এখন আমরা প্রত্যেক ডিভিশনে একটি করে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। স্বাস্থ্যসেবা বিকেন্দ্রীকরণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের আমলে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে গৃহিত পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, আমরা স্বাস্থ্যনীতি ২০১১ ও জনসংখ্যা নীতিমালা ২০১২ প্রণয়ন করেছি এবং এ পর্যন্ত সারাদেশে ১৬ হাজার ৪৩৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছি। ১৯৯৬ সালেই আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে এই কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর উদ্যোগ নিলেও দুর্ভাগ্যবশত পরবর্তীতে সরকার গঠন করতে না পারায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যক্ষেত্রসহ বিভিন্ন পর্যায়ের উন্নয়ন কর্মকা-ের মতো এটাকেও বন্ধ করে দেয়। এছাড়া বিভিন্ন মেডিক্যাল হাসপাতালে সরকারের চালু করা জরুরী স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির জন্য সৃষ্ট রেফারেল সিস্টেমটাও বিএনপি জোট বন্ধ রাখে। শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার স্থানীয় পর্যায় থেকে-গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলা ভিত্তিক তিনস্তর বিশিষ্ট স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে এবং সরকারী হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে প্রায় ৩০ ধরনের ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির প্রসারের ফলে মোবাইল ফোন জনগণের হাতের নাগালে এনে দেয়ার মাধ্যমে তাঁর সরকার সকল জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে মোবাইল ফোনে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং বিভিন্ন হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা প্রবর্তন করেছে। চিকিৎসা শাস্ত্রের প্রসারে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারী-বেসরকারী মিলিয়ে মোট ৩শ’ ৪৫টি নতুন চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। চিকিৎসা শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে মোট ১২ হাজার ৮শ’ ৪টি আসন বাড়ানো হয়েছে। আমাদের সরকারের সাত বছরে ১২ হাজার ৭শ’ ২৮ জন সহকারী সার্জন এবং ১শ’ ১৮ জন ডেন্টাল সার্জন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫ হাজার নতুন নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আরও ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দান প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ৩ হাজার মিডওয়াইফ নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণীর সর্বমোট ৩ হাজার ৭১টি পদে জনবল নিয়োগ দিয়েছি। পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের আওতায় বিভিন্ন পর্যায়ে ৪ হাজার ৮শ’ ৫৮ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারিকে নিয়োগ দিয়েছি। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে চিকিৎসক সংকট নিরসনে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের ৩৩তম ব্যাচে ৬ হাজার ২৩৫ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়। শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করেছে এবং মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার ও লেকটেটিং মাদার ভাতা চালু করেছে। ২৭ মার্চ ২০১৪-তে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে পোলিওমুক্তি সনদ লাভ করেছে। চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শয্যা সংখ্যা ৭শ’ থেকে ১৫শ’ করেছি। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল স্থাপন করেছি। জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউটকে ৩শ’ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। ৫শ’ শয্যার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারী কর্মচারীদের জন্য ১শ’ ৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল এবং জাতীয় ইএনটি ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্ল্যাড ক্যান্সার এবং থ্যালাসেমিয়া চিকিৎসায় বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকার কুর্মিটোলায় ৫শ’ শয্যাবিশিষ্ট এবং খিলগাঁওয়ে ১৫শ’ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল চালু করেছি। তিনি জানান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৃথক অত্যাধুনিক বার্ন ইউনিটসহ দেশের সরকারী বৃহৎ হাসপাতালগুলোতে বার্ন ইউনিট খোলা হয়েছে। পৃথক বার্ন এবং প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল নির্মাণের কাজও এখন চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় জাতির পিতার পরিবারের অপর জীবিত সদস্য ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ট্রাস্ট করে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’র উদ্যোগে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ খুলনায় শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডাইজেস্টিভ ডিজিজ রিসার্চ ও হাসপাতাল নির্মাণের কথা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী অটিজম আন্দোলনে তাঁর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বলিষ্ঠ ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেন, সায়মা ওয়াজেদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাতেই অটিজম শিশুদের লুকিয়ে রাখা বা তাকে নিয়ে অভিভাবকদের মুখ লুকানো ভাব অনেকাংশেই বন্ধ হয়েছে। বরং স্পেশাল চাইল্ড হিসেবে তাদের বিশেষ যতেœ সমাজের মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য দেশে-বিদেশে সচেতনতার সৃষ্টি হয়েছে। অথচ আগে এই অটিস্টিক শিশুরা স্কুলে গেলে, তার সঙ্গীরা যেমন ঠাট্টা করত, আবার শিক্ষকরাও অত্যাচার করত। আমরা অনেক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ স্থাস্থ্যসেবাকে জনগণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে পারাতেই বর্তমানে দেশে মানুষের গড় আয়ু ৭১ বছরে উন্নীত হয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী হাসতে হাসতে বলেন, আমার বয়স এখন ৭০ বছর। আমার হাতে মোটে এক বছর আছে। নারীদের সুবিধার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি ছয় হাজার জনসংখ্যার জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক করে দেয়া হয়েছে, যাতে মেয়েরা হেঁটে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারে। অপুষ্টিরোধে ভিটামিন ও ফলিক এসিড বিতরণ এবং শিশুদের কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। তিনি বিদেশ থেকে সহায়তা নেয়ার প্রবণতা ত্যাগ করে নিজেদের কাজ নিজেরা করার পরিকল্পনা থেকে দেশ পরিচালনা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
×