ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ছাত্রলীগের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

কী পেলাম চিন্তা না করে জনগণকে কী দিলাম- সেই চিন্তা কর

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ২৭ অক্টোবর ২০১৬

কী পেলাম চিন্তা না করে জনগণকে কী দিলাম- সেই চিন্তা কর

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে নিজেদের গড়ে তোলার জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তোমাদের মধ্য থেকেই তো গড়ে উঠবে আগামী দিনের নেতা, মন্ত্রী, এমপি। তোমাদেরই তো নেতৃত্ব দিতে হবে, দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। দেশ ও জাতির সেবা করতে হবে, দেশপ্রেমিক হতে হবে। তাই জীবনে কী পেলাম না পেলাম সে চিন্তা করা যাবে না। জনগণকে কী দিতে পারলাম আর কী পারলাম না সেই চিন্তা করতে হবে। সময়কে কাজে লাগাতে হবে, আদর্শের কর্মী হতে হবে, তেমনি অন্যদেরও দেখতে হবে যেন কেউ বিপথে না যায়। রাজনীতিবিদ হতে হলে দেশ ও মানুষের চিন্তা করতে হবে। বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনের সামনে খোলা চত্ব¡রে ছাত্রলীগের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ও দলটির প্রধান খালেদা জিয়ার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, খালেদা জিয়ার জন্ম শিলিগুড়িতে, ভারতের মাটিতে। যাদের জন্ম বাংলাদেশে না, তারা দেশকে ভালবাসতে পারে না, দেশের জন্য কাজ করতে পারে না। মাটির টান না থাকলে দেশকে ভালবাসা যায় না, কাজ করা যায় না। আর তাদের কোন শিক্ষা নেই। কেউ ম্যাট্রিক ফেল, কেউ টেনেটুনে ম্যাট্রিক পাস। তারা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়, দেশের জন্য কিছু করতে পারে না। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমার জন্ম টুঙ্গিপাড়ায়। বঙ্গবন্ধুর জন্মও সেখানে। দেশের মাটিতে জš§ হওয়ায় আমাদের মাটির প্রতি টান রয়েছে। কিন্তু জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া এবং পরে যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারে এসেছে, তাদের কারও জš§ ও মূল এদেশের মাটিতে নয়, ভারতের মাটিতে। দেশের মাটিতে জš§ না হলে মাটির প্রতি টান কীভাবে থাকবে? এ প্রসঙ্গে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও সফলতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে দেখা হলে অনেকেই বলেন, বাংলাদেশ একটা বিস্ময়। তারা বলেন, আপনি কি ম্যাজিক জানেন? তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন আর কোন দেশের কাছে হাত পাততে হয় না। আর কোন দেশকে আমরা এখন দাতা বলি না, উন্নয়ন সহযোগী বলি। বাংলাদেশকে দারিদ্র্যশূন্য দেশ হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দেশ হবে একেবারে দারিদ্র্যশূন্য। এই স্বপ্নই বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন। ইনশাল্লাহ আমরা তা করতে পারব। বাঙালী জাতি পারে, পারবে। একই সঙ্গে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, কোন রকম সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের স্থান এ দেশের মাটিতে হবে না। বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শান্তির দেশ। দেশে আর কোন সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নও দেখতে চাই না। বাংলাদেশকে নিয়ে, এদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনিও খেলতে পারবে না। বুধবারে এই অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শাখার বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী যোগ দেন। এতে গণভবন চত্বর মুখর হয়ে ওঠে। বক্তৃতার একপর্যায়ে সেখানে বৃষ্টি শুরু হলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন। তবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর বৃষ্টির মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অব্যাহত রাখার দাবি জানান। পরে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতেই তারা গোটা অনুষ্ঠান উপভোগও করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা গণভবনে এসেছো। গণভবন ধন্য। এই মাটি ধন্য।’ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। পরে টানা অষ্টমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছাও জানান ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে আসা তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া আওয়ামী লীগের নেতারাও তাঁর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন। আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত কয়েকজন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। শুধু নিজের জন্য নয়, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি একটা দায়িত্ব তোমাদের দেব, পরীক্ষার পরের যে সময়টা থাকে, প্রত্যেকের নিজের বাড়িতে নিরক্ষর আছে কিনা খুঁজে বের করে তাদের অক্ষরজ্ঞান দিতে হবে। আমরা নিরক্ষরতা দূর করতে চাই। প্রতিটি মানুষ শিক্ষার আলোয় আলোকিত হোক সেটাই চাই। আর ছুটিতে যখন বাড়িতে যাবা দেখবা আশপাশে কোন গৃহহীন আছে কিনা, কেউ না খেয়ে আছে কিনা। এখানে (বাংলাদেশে) কোন দারিদ্র্য থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে না। গৃহহারা থাকবে না। আমরা সবার জন্য খাদ্য ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করব। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকার স্কুল-কলেজ ঠিকমতো চলছে কি না, সেখানকার পড়াশুনার খোঁজখবর নেয়ার পরামর্শ দেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মনে রাখবা, কখনও যেন মানসিক দৈন্য না পেয়ে বসে। মনের শত্রু বড় শত্রু। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কর্তব্যবোধ থাকতে হবে। ছাত্র হিসেবে তোমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হচ্ছে লেখাপড়া করা। তোমাদের লেখাপড়া শিখতে হবে। মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। কারণ অশিক্ষিত কেউ ক্ষমতায় আসলে কি করতে পারে, আমাদের মনে হয় তোমাদের আর বুঝিয়ে দিতে হবে না। শেখ হাসিনা বলেন, আমি আমাদের সন্তানদের বলেছি, তোমাদের কোন অর্থ-সম্পদ দিয়ে যেতে পারব না। একটা সম্পদ দিয়ে যাব সেটা হলো শিক্ষা। সেটাই হবে তোমাদের মূল সম্পদ। শিক্ষা থাকলে কোন কিছু করে খেতে পারবে। ধার করে ঘি খাওয়ার চেয়ে কষ্ট করে নুন-ভাত খাওয়া অনেক মর্যাদার। আমাদের বাবা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা দিয়েছেন, নিচের দিকে তাকিয়ে চলবে। নিচের দিকে তাকালে সৎ হয়ে চলার উৎসাহ পাবে। আর উপরের দিকে তাকালে তাদের মতো চলতে অসৎ হতে শিখবে। আমাদের চলতে হবে আদর্শ নিয়ে, নীতি নিয়ে। নিজেকে ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে পরিচয় তিনি অষ্টমবারের মতো আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি বলেন, আমি ছাত্রলীগের একজন ছোট্ট কর্মী ছিলাম। ছাত্রলীগ আমি স্কুল জীবন থেকেই শুরু করি। কলেজে উঠে ছাত্রলীগের কার্যক্রমের সঙ্গে আরও গভীরভাবে সম্পৃক্ত হই। তিনি বলেন, আমরা যে নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কর্মসূচি নিয়েছিলাম, সেটি ছাত্রলীগের ফলেই সম্ভব হয়েছে, তারা কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছিল। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পড়ালেখায় আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যারা ছাত্রলীগ করে ও বিশ্বাস করে, যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী তাদের দেশপ্রেমিক হতে হবে। দেশ-জাতির প্রতি যে কর্তব্য, সেই কর্তব্য বোধ ও অনুভূতি থাকতে হবে। অন্যদিকে একজন ছাত্রের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো লেখাপড়া। কাজেই সর্বোপরি সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, আমি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে বই-খাতা তুলে দিয়েছিলাম। ছাত্রলীগের মূলনীতির প্রথম কথাই হচ্ছে শিক্ষা। জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ারা ছাত্রদের হাতে অস্ত্র-মাদক তুলে দিয়েছিলেন। খালি অস্ত্র আর অস্ত্র। আর আমরা দিয়েছিলাম কলম। কেননা কলমের শক্তিই বড় শক্তি। অসির চেয়ে মসি বড়। বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, মানুষ পুড়িয়ে হত্যার বিবরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের আগুনে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার আন্দোলনে মানুষ সাড়া দেয়নি। জনগণই প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। ভবিষ্যতেও সাড়া দেবে না। তিনি বলেন, আল বদর, যুদ্ধাপরাধী, খুনী এবং যারা দুর্নীতি, লুটপাট ও মানিলন্ডারিং করেছে, এতিমের টাকা চুরি করে খেয়েছে তারা যেন আর কখনোই ক্ষমতায় আসতে না পারে। যারা দেশের অকল্যাণ করে তারাও যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে। কেননা এরা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে। ক্ষমতায় এলে আবারও এতিমের টাকা মেরে খাবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা একটি স্বাধীন জাতি, আমাদের একটি স্বাধীন ভূখ- আছে, একটি রাষ্ট্র আছে, আমাদের পতাকা আছে। আজ আমরা গোটা বিশ্বের বুকে একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। আজ আমরা গোটা বিশ্বের বুকে একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরপর বঙ্গবন্ধু সংবিধানে শিক্ষাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করে দিয়েছিলেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিকসহ বাধ্যতামূলক করে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্য নিয়েই তিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দেন। আমি আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাই। একই সঙ্গে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদমুক্ত দেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ হবে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদমুক্ত দেশ- এ কথা কেবল বক্তৃতায় বললে হবে না। কার্যকর করতে হবে। কোন ছেলেমেয়ে যেন বিপথে না যায়। এটি পিতা-মাতা-অভিভাবক, শিক্ষকদেরও খেয়াল রাখতে হবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে জঙ্গীবাদের ঠাঁই নেই। ধর্মের নামে মানুষ খুন করে কেউ বেহেশতে যেতে পারবে না। এটাও মসজিদে, মসজিদে এবং সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে প্রচার করতে হবে। আর ছাত্রদের মাদকাসক্তিতে জড়ানো যাবে না। যে আসক্তি মানুষের মেধা ও কর্মশক্তি নষ্ট করে দেয়, সেটিতে জড়ানোর দরকার কী?’ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকা- প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সেদিন জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। এরপর একুশ বছর যে অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে সেখানে ছাত্রলীগের বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, গুম করেছে। পরিবারগুলো তাদের লাশও পায়নি। এই হত্যাকা- চালিয়েছে জিয়াউর রহমান। কারণ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে হঠাৎ একদিন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে ক্ষমতায় এসে দল গঠন করে শুধু লুটপাট, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি করেছে। মানুষকে তারা কিছুই দিতে পারেনি। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন। জিয়াউর রহমান সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দেয়। তাদের মুক্ত করে। সাত খুনের আসামিকে মাফ করে দিয়ে দলে নেয়, ক্ষমতায় বসায়। হত্যাকারীদের বিচার না করে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে তাদের পুরস্কৃত করে। অন্যায়কে তারা প্রশ্রয় দেয়। যুদ্ধাপরাধী, স্বাধনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় বসিয়ে আমাদের লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত পতাকা তাদের হাতে তুলে দেয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে। সংবিধানে যাদের রাজনীতি করার ক্ষমতা নিষিদ্ধ ছিল। মার্শাল ল জারির মাধ্যমে সেই সংবিধান ক্ষত-বিক্ষত করে এবং তাদের রাজনীতির সুযোগ করে দেয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পরে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত, লড়াই-সংগ্রাম ও রক্তের মধ্যে দিয়ে আমাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হয়। তখনই দেশের প্রথম উপলদ্ধি করতে পরে সরকার জনগণের জন্য কাজ করে। বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তাদের কোন শিক্ষা নেই। তারা দেশের জন্য কী করবে। এদের জš§ তো বাংলাদেশের মাটিতে হয়নি, সে জন্যে মাটির টানও তাদের নেই।
×