ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শিশুর প্রশ্নে মুক্তি পেল ভাল্লুক!‌

প্রকাশিত: ১৮:৫৬, ২৬ অক্টোবর ২০১৬

শিশুর প্রশ্নে মুক্তি পেল ভাল্লুক!‌

অনলাইন ডেস্ক॥ ছোট্ট শিশুর প্রশ্নে অবশেষে কাজ দিল।‌ মুক্তি পেল একটি ভাল্লুক!‌ সাংহাইয়ে একটি শপিং মলের মধ্যে ছোট্ট চিড়িয়াখানায় বন্দি ছিল সে। কয়েকটি পশুপ্রেমী সংস্থার মিলিতে প্রচেষ্টায় মুক্তি দেওয়া হল এই মেরুভাল্লুকটিকে। বহুদিন ধরেই ওই শপিংমলের মূল আকর্ষণ ছিল এই ভাল্লুক পিজ্জা। তাকে দেখতে ভিড় জমাতেন ক্রেতারা। পিজ্জার খাঁচার সামনেই গড়ে তোলা হয়েছে শিশুদের প্লে হাউজ। ধবধবে সাদা পিজ্জা দেখতে দেখতে অনেক শিশুই শান্ত হয়ে সময় কাটাত সেখানে। আর খাঁচার অন্য দিক থেকে উচ্ছ্বল হয়ে উঠত পিজ্জাও। খাঁচার সামনে বাচ্চাদের দেখে আনন্দে লুটোপুটি খেতো সে। ডিগবাজি খেয়ে, লাফালাফি করে সে স্পষ্টই বুঝিয়ে দিত যে শিশুদের কতটা পছন্দ করে। খুব দ্রুতই বাচ্চাদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সে। কিন্তু দীর্ঘদিনের বন্দি জীবনে ক্রমশ বিষণ্ণ হয়ে উঠছিল পিজ্জা। আগের মতো উচ্ছল হতে দেখা যেত না তাকে। কয়েকদিন আগে পিজ্জার খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে একটি শিশু প্রশ্ন করে, কেন দুই থাবায় মুখ ঢেকে চুপচাপ শুয়ে আছে পিজ্জা? কেন তাকে দেখে আগের মতো লাফালাফি করছে না মেরুভল্লুকটি? এই কথোপকথনটির ভিডিও রেকর্ড করে ইন্টারনেটে আপলোড করেন তার বাবা। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিওটি। নড়েচড়ে বসে কয়েকটি পশুপ্রেমী সংস্থা। ছোট্ট খাঁচা থেকে পিজ্জা-‌কে মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়ে অনলাইন পিটিশন চালু করা হয়। আবেদনে বলা হয়, ‘পিজ্জা-‌ই পৃথিবীর সবচেয়ে দুঃখী মেরুভল্লুক। ওর মুক্তির আবেদনে স্বাক্ষর করুন।’ প্রাণীবিশেষজ্ঞদের একটি দল পিজ্জা-‌কে দেখে দাবি করে,‘ বিষণ্ণ হওয়ার সবকটি লক্ষণই রয়েছে মেরুভল্লুকটির মধ্যে। তাই ওকে যেন মুক্তি দেওয়া হয়।’ সেই দাবি মেনেই মুক্তি পেল পিজ্জা। এখন তাকে রাখা হয়েছে ইয়র্কশায়ারের অভয়ারণ্যে।‌‌
×