অনলাইন ডেস্ক॥ রুটি বানাতে না পারায় খালিদ মেহমুদ নামের এক পাকিস্তানি মেয়ে আনিকাকে হত্যা করেন। পরে মেয়ের মৃতদেহ ফেলে আসেন লাহোরের মায়ো হাসপাতালের বাইরে আস্তাকুঁড়ে। লাহোরের আদালত, এই নৃশংস কাজের জন্য খালিদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
হাসপাতালের আস্তাকুড়ে মেয়ের মৃতদেহ ফেলে আসার পর পুরো ঘটনাটি চাপা দিতে নতুন এক ফন্দি আঁটেন। হাজির হন পুলিশ স্টেশনে। সেখানে গিয়ে রিপোর্ট লেখান, মেয়ে নিখোঁজ। খাবার কিনতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। আর ফেরেনি। খোঁজাখুজির পরই পুলিশ উদ্ধার করে আনিকার মৃতদেহ। কিন্তু তখনও সন্দেহ হয়নি খালিদের ওপর। ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে এবং নানা জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহের পর, পুলিশের কাছে পরিষ্কার হয় বিষয়টি।
পুলিশের সামনে নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন খালিদ আর আবুজার। দুই জনেই জানিয়েছেন, কোনওদিনই আনিকা গোল রুটি বানাতে পারত না। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায়, দুই জনে মিলে প্রচণ্ড মারধর করেছিলেন আনিকাকে। বাবা আর ভাইয়ের হাতে ওই ভয়ঙ্করভাবে মার খাওয়ার পর আনিকা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: