ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফরচুনের লভ্যাংশ নিয়ে বিভ্রান্তি

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ২৬ অক্টোবর ২০১৬

ফরচুনের লভ্যাংশ নিয়ে বিভ্রান্তি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ফরচুন সুজের ‘নো’ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করার সযোগ নেই। তবে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ‘নো’ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে বলে বিনিয়োগকারীদের মাঝে এরই মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসে বিনিয়োগকারীদের এ নিয়ে আলোচনা করতে দেখা গেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিয়ে এরই মধ্যে ফরচুন সুজের বোর্ড সভা ও বার্ষিক সাধারণ অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। যাতে কোম্পানিটির এ বছরের ওপর কোন লভ্যাংশ ঘোষণা করার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে ‘নো’ ডিভিডেন্ডও ঘোষণা করার সুযোগ নেই। ফরচুন সুজের সচিব মোঃ রিয়াজ হায়দার জানান, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগেই ২০১৫-১৬ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে নিয়ে গত ১০ আগস্ট বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার আলোকে গত ৬ সেপ্টেম্বর এজিএমও হয়েছে। এমতাবস্থায় ফরচুন সুজের ২০১৫-১৬ অর্থবছর নিয়ে বোর্ড সভা করার কোন সুযোগ নেই। যাতে ‘নো’ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করারও সুযোগ নেই। এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে ফরচুন সুজের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪৯৭ শতাংশ বা ৪৯.৭ টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৯.৭ টাকায়। তবে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে ৪৮.১০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে প্রথম দিনে কোম্পানিটি ৪৯৭ শতাংশ দর বাড়লেও বাজারে একটি পক্ষ গুজব ছড়াতে শুরু করে যে কোম্পানিটি কোন লভ্যাংশ দেবে না। এমন গুজবের কারণেই প্রথম দিনে যারা শেয়ারটি কিনেছেন তারা লোকসানে পড়েছেন। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন দেখেই শেয়ার কিনেছিলেন। কিন্তু গুজবের কারণে অনেকেই লোকসানে শেয়ার ছেড়ে দিচ্ছেন। এতে কোম্পানিটির প্রতিটিও আস্থাহীনতা বাড়ছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কোম্পানির পক্ষ থেকে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণার জন্য পরিচালনা পর্ষদের সভার আয়োজন করা সম্ভব নয়। কারণ তালিকাভুক্তির আগেই তারা সভাটি করে ফেলেছে। আবার নতুন অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য, শেয়ারবাজার থেকে টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যে কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) গত ১৬ থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে আবেদন গ্রহণ চলে। এ সময় কোম্পানিটির চাহিদা থেকে প্রায় ৪১ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়ে। যাতে ২১ সেপ্টেম্বর আইপিও লটারির মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডার নির্বাচন করা হয়। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ২ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ২২ কোটি টাকা সংগ্রহ করার অনুমোদন পায়। যা দিয়ে ভবন নির্মাণ, মেশিন ও ইক্যুপমেন্ট ক্রয় করা হবে।
×