বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগে অনেক পরিবর্তন আসছে। নেতাকর্মীদের জনগণের সঙ্গে ভাল আচরণ করতে হবে। যারা জনগণের সঙ্গে আচরণ খারাপ করবে, যাদের অপকর্মের কারণে সরকার ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হবে, আগামী নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন থাকবে।
মঙ্গলবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তুলনামূলক কম পরিচিত অনেক নেতা কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে চমকের কিছু নেই। সভাপতিমন্ডলীতে যারা নতুন এসেছেন, তাদের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ঢাকার পাদপ্রদীপের আলোয় হয়ত তারা নেই। কিন্তু নিজের এলাকা তৃণমূলে তারা অত্যন্ত অভিজ্ঞ, পোড় খাওয়া এবং আমাদের নেত্রী তৃণমূল থেকে অনেককে টেনে এনেছেন। যেমন চট্টগ্রামের এ বি এম মহিউদ্দিনের ছেলে নওফেলকে আনা হয়েছে। কিন্তু ঢাকায় তিনি পরিচিত নন, চট্টগ্রামে তাঁর পরিচিতি আছে। সেখানে তিনি কাজ করতেন।’
ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের এবারের কমিটিতে অগ্রাধিকার দেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি, কমিটিতে আরও নতুন মুখ আসবে।’ এবারের কমিটিতে বামদের প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে বাম-ডানের বিষয় নয়। বেগম মতিয়া চৌধুরী ১৯৮০ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন, প্রায় ৩৬ বছর। এখনও তাকে কি আমরা বাম বলব? এত দিন পরে তাদের বাম-ডানে চিহ্নিত করা সুবিচার হবে না।
দলের নতুন কর্ম-পরিধি বাড়ানোর বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনাটা হচ্ছে প্রতিদিন কাজের গতি আমরা বাড়াব। এটা শুধু ঢাকায় নয়, তৃণমূল পর্যন্ত হবে। আপাতত লক্ষ্য পরবর্তী নির্বাচন। ২০২১ সালের মধ্যে উন্নয়ন-অর্জনের ধারাকে অব্যাহত রাখা এবং এই মুহূর্তে আমাদের প্রকাশ্যে শত্রুতা করার মতো প্রতিপক্ষ খুবই দুর্বল। এখনও আমরা মনে করি, আমাদের গোপন শত্রু হলো উগ্রবাদ। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তা প্রতিহত করব।