ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

কাইয়ুমসহ সাত জনের বিচার শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২৬ অক্টোবর ২০১৬

কাইয়ুমসহ সাত জনের বিচার শুরু

কোর্ট রিপোর্টার ॥ বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যা মামলায় বিচার শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা চার্জ গঠনের আদেশ দেন। গত ২৪ আগস্ট মামলাটির পলাতক আসামি কাইয়ুম কমিশনার এবং ভাঙ্গারি সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। এর আগে ২৮ জুন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী মামলাটিতে কাইয়ুম কমিশনারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। চাজশীটভুক্ত অপর ৬ আসামি হলেন এম এ কাইয়ুমের ভাই আবদুল মতিন, তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল ওরফে শুটার রুবেল, রাসেল চৌধুরী ওরফে চাক্কি রাসেল, মিনহাজুল আরেফিন রাসেল ওরফে ভাগনে রাসেল ও শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরিফ ও মোঃ সোহেল ওরফে ভাঙ্গারি সোহেল। তামজিদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল ও শাখাওয়াত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। মতিনসহ স্বীকারোক্তিকারী চারজন কারাগারে এবং কাইয়ুম ও সোহেল পলাতক রয়েছেন। স্বীকারোক্তিতে রাসেল ও মিনহাজুল হত্যাকা-ের নির্দেশদাতা হিসেবে এমএ মতিনের নাম বলেছেন। তবে মতিন রিমান্ডে ডিবির কাছে তাবেলা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেও আদালতে স্বীকারোক্তি দেননি। চার্জশীটে বলা হয়, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করে দেশে-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়া। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতে এই পরিকল্পনা করা হয়। তাবেলা নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক আইসিসিও কো-অপারেশন নামের একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রুফ (প্রফিটেবল অপরচুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচীর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন। চার্জশীটে আরও বলা হয়, ভাঙ্গারি সোহেলের কাছ থেকে পিস্তল ভাড়া নিয়ে খুনিরা তাবেলাকে হত্যা করেন। মতিনের নির্দেশে ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শাখাওয়াতের মোটরসাইকেল নিয়ে মিনহাজুল, তামজিদ, রাসেল চৌধুরী গুলশান ২-এর ৯০ নম্বর সড়কে যান। ওই সড়কের গবর্নর হাউসের সীমানা প্রাচীরের বাইরে ফুটপাথে নিরিবিলি ও অন্ধকার স্থানে তামজিদ গুলি করে সিজার তাবেলাকে (৫১) হত্যা করেন। এতে তাঁকে সহায়তা করেন রাসেল চৌধুরী ও মিনহাজুল। মোটরসাইকেলটি চালিয়েছিলেন মিনহাজুল। মামলায় ওই মোটরসাইকেল আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। চার্জশীটে আরও বলা হয়, বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমের পরিকল্পনা ও অর্থায়নে সিজার তাবেলাকে হত্যা করা হয়। কাইয়ুম পরিকল্পনা করলেও তা বাস্তবায়ন করেন তার ছোট ভাই আবদুল মতিন। পিস্তল সরবরাহকারী সোহেল গ্রেফতার না হওয়ায় পিস্তলটি উদ্ধার সম্ভব হয়নি। তবে পিস্তলটি না পেলেও ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।
×