ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঘুম থেকে জেগেই দেখে শরীরে আঁচড়

প্রকাশিত: ০৪:০২, ২৬ অক্টোবর ২০১৬

ঘুম থেকে জেগেই দেখে শরীরে আঁচড়

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ শরীরে তিনটি করে নখের আঁচড়। এ আঁচড়ে রক্তও ঝরছে। কে কিভাবে এ আঁচড় দিচ্ছে তা দেখা যায় না। একটু তন্দ্রাচ্ছন্ন হলেই দেহে অদৃশ আঁচড় পড়ছে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র যোবায়েরের। অদৃশ্য আঁচড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ওই ছাত্র। অভিভাবকরাও রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। অদৃশ্য এ আঁচড়ের কোন ব্যাখ্যা মেলেনি। আঁচড়ের ভয়ে এখন ঘুমাতেও পারছে না ওই ছাত্র। সর্বশেষ রবিবার রাতেও তার বাম হাঁটুতে একইভাবে আঁচড় পড়ে। এর আগে রবিবার বেলা ১১টা থেকে স্কুলে পরীক্ষা দিচ্ছিল যোবায়ের। পরীক্ষা শেষে বেঞ্চে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে সে। হঠাৎ শরীরে কাঁপুনি শুরু হয় তার। এরপরই বাম হাতে দেখা যায় তিনটি গভীর আঁচড়ের ক্ষত। এমন ঘটনায় ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত সবাই অবাক। যোবায়েরের শরীরে এমন অদৃশ্য আঁচড় পড়ছে গত পাঁচ দিন ধরে। শরীরে অন্তত আট থেকে ১০ জায়গায় আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে। প্রত্যেক স্থানেই তিনটি করে একই ধরনের আঁচড়। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে মানসিক চিকিৎসকদের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। যোবায়েরের বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার মালোপাড়া এলাকায়। যোবায়েরের বাবা জাকির হোসেন জানান, গত বুধবার থেকে ছেলের এ রোগটি (আঁচড়) ধরা পড়ে। প্রথম দিন যোবায়ের ঘুম থেকে উঠে ভয় পেয়ে যায়। ছেলে জানায়, কে যেন তাকে থাপ্পড় মেরেছে। ওই দিন যোবায়েরের গালে আঙুলের দাগ স্পষ্টভাবে ফুটে ছিল। এরপর থেকে ঘুমালেই অদৃশ্য আঁচড়ে দিশেহারা হয়ে জেগে ওঠে যোবায়ের। শঙ্কায় রয়েছে তার পরিবার। জাকির হোসেন জানান, প্রতিদিনই দুই থেকে তিনবার এমন ঘটনা ঘটছে। যোবায়েরের শরীর কাঁপতে থাকে। এভাবে চলে চার-পাঁচ মিনিট। এরপর সে স্বাভাবিক হয়ে যায়। তারপর শরীরের কোন এক জায়গার নাম করে বলে সেখানে জ্বলছে। এরপর সেই জায়গায় দেখা যায় আঁচড়ের দাগ। সব আঁচড়ের দাগই একই ধরনের। ৪ হাতবোমাসহ চোর আটক নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া, ২৫ অক্টোবর ॥ দৌলতপুরে ৪ হাত বোমাসহ রুবেল (৩০) নামে এক চোর জনতার হাতে আটক হলে তাকে গণধোলই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। সোমবার রাত ২টার দিকে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের তেকালা মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানায়, তেকালা গ্রামের চিহ্নিত চোর ও সন্ত্রাসী ইন্তজুলের ছেলে রুবেল তেকালা মধ্যপাড়া গ্রামে তৌহিদের বাড়িতে মোটরসাইকেল চুরি করতে ঢুকে। এ সময় বাড়ির লোকজন জানতে পেরে চিৎকার দিয়ে ধাওয়া দিলে চোর রুবেল পালানোর সময় একটি বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করলে এলাকাবাসী তাকে ৪টি হাত বোমাসহ আটক করে। পরে তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করলে পুলিশ আহত অবস্থায় রুবেলকে উদ্ধার করে।
×