ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইলিশ ধরা থামছে না কুষ্টিয়ার পদ্মায়

প্রকাশিত: ০৪:০২, ২৬ অক্টোবর ২০১৬

ইলিশ ধরা থামছে না কুষ্টিয়ার পদ্মায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ২৫ অক্টোবর ॥ কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরা থামছে না। ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা হচ্ছে ইলিশ। বিক্রিও হচ্ছে দেদার। মাছ ধরা ঠেকাতে প্রশাসনও রয়েছে নদীতে। তার পরও মাছ ধরা যেন থামছে না। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে মা ইলিশ রক্ষায় সরকারের কোন পদক্ষেপেই কাজে আসছে না। এ চিত্র কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে। এদিকে, ইলিশ মাছ ধরার সঙ্গে সম্পৃক্ত ৫শ’ ৮৪ জন জেলের ভাগ্যেও জুটেনি কোন ভাতা বা সহযোগিতা। ভেড়ামারায় রয়েছে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পদ্মা নদী। তালিকাভুক্ত জেলে রয়েছে ৯৭২ জন। এরমধ্যে ইলিশ মাছ শিকার কাজে সম্পৃক্ত ৫৮৪ জন জেলে। মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ১২ অক্টোবর থেকে ২ নবেম্বর পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করে। এ সময়ে পদ্মায় প্রচুর ইলিশ পাওয়া যায় বলে এক শ্রেণীর অসাধু চক্রের সহযোগিতায় কিছু জেলেরা ইলিশ মাছ ধরার মহোৎসব শুরু করে। নিষিদ্ধ ১১ দিনেই কয়েক শ’ মণ ইলিশ মাছ ধরেছে জেলেরা। নদী উপকূল এলাকায় সব সময় পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর ইলিশ। দামও সস্তা। যে কারণে জেলেদের সঙ্গে ক্রেতারও বেসামাল। ভেড়ামারা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার গোলাম সরোয়ার জানান, মা ইলিশ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। একা প্রশাসনের পক্ষে মাছ ধরা বন্ধ করা সম্ভব নয়। যে কারণে চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ২টি সচেতনতা মূলক সভা, ১ হাজার ৫শ’ লিফলেট, ব্যানার, মাইকিং করা হয়েছে। এসব তৎপরতা কোন কাজেই আসেনি। স্থানীয়দের সহযোগিতা পাচ্ছি না। যে কারণে পদ্মায় মাছ ধরা থামছে না। ১১ দিনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তিমনি চাকমা, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি শিহাব রায়হান, ভেড়ামারা সার্কেলের এএসপি কামরুল হাসানসহ দিনে ও রাতে ৪৬টি অভিযান চালিয়ে মাত্র ৫০ কেজি ইলিশ জব্দ করেন। জেল দেয়া হয় ৪ জন জেলেকে। ৪৬ হাজার মিটার জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়। জেলেদের জরিমানা করে আদায় করা হয় ৩৯ হাজার টাকা। কিন্তু বন্ধ হয়নি ইলিশ ধরা। শৃঙ্খলা ভঙ্গ ॥ ১৭ নেতাকে বহিষ্কার নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ২৫ অক্টোবর ॥ পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ১৭ নেতাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার রাতে জেলার পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম নাজু বুড়িমারী স্থলবন্দরের জেলা পরিষদ ডাকবাংলো সামনে এক পথসভায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত এসব নেতার নাম ঘোষণা করে। বহিষ্কৃত নেতারা হলেন, বুড়িমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব রেজোয়ান হোসেন, বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত, ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক আলী আজম, সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সাঈদ সুজন, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তোসাদ্দেক হোসেন আলম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রুমেল, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন এ্যাপলো, ৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মুকুল হোসেন, ৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি হোসেন আলী, সাধারণ সম্পাদক আজিজার রহমান, ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও ১০ টাকা চালের রেশন ডিলার দুলাল হোসেন।
×