বিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ॥ নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের শিয়ালা উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের সংকটের কারণে পরিত্যাক্ত মাটির কক্ষে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম। মাটির দুটি পরিত্যাক্ত কক্ষসহ মোট ছয়টি কক্ষে প্রতিদিন গাদাগাদি করে পাঠগ্রহণ করছে ওই বিদ্যালয়ে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা। পরিত্যাক্ত ভবন যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে চালানো হচ্ছো শিক্ষা কার্যক্রম। বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, অবিভাবক ও সচেতন মহল সেখানে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা মাথায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালিযে আসছেন। এছাড়া পরিত্যাক্ত ওই মাটির ভবনের দরজা-জানালা, ছাউনির টিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চসহ বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার প্রত্যন্ত ওই এলাকায় তৎকালীন কিছু শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির উদ্যোগে ১৯৬৯ সালে ওই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সময় মাটির ৩টি কক্ষ নির্মাণ করে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ২শ’ ৮০জন শিক্ষার্থী প্রতিদিন বিদ্যালয়ে পাঠ গ্রহণ করছে। কিন্তু বর্তমানে বিদ্যালয়ে কক্ষের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। যার কারণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরিত্যাক্ত ওই মাটির কক্ষে পাঠ দান করাতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, বর্তমানে প্রত্যন্ত এলাকার এই বিদ্যাপিঠ নানা সমস্যায় জর্জড়িত। কক্ষ সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে পরিত্যাক্ত মাটির ভবনের ২টি কক্ষ সংস্কার করে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত কক্ষে পাঠগ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে। কক্ষের সংকটের কারণে একই কক্ষে গাদাগাদি করে পাঠ গ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা।
এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানান, এই বিদ্যালয়ের সমস্যা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো হয়েছে। বরাদ্দ মিললেই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মান কাজ শুরু হবে।
রাণীনগরে পরিত্যাক্ত মাটির কক্ষে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: