ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আজই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে নিম্নচাপটি

প্রকাশিত: ২০:২০, ২৫ অক্টোবর ২০১৬

আজই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে নিম্নচাপটি

অনলাইন রিপোর্টার॥ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে মঙ্গলবারই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরে দায়িত্ব পালনকারী একজন আবহাওয়াবিদ বলেন, গভীর নিম্নচাপটি মঙ্গলবারই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এটি ক্রমেই শক্তি সঞ্চয় করছে। গভীর নিম্নচাপটি একটু একটু করে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গভীর নিম্নচাপ হচ্ছে একটি ঝোড়ো হাওয়ার অঞ্চল, যেখানে বাতাসের গতিবেগ ৫১ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে। কোনো ঝোড়ো হাওয়ার অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ ৬১ থেকে ৮৮ কিলোমিটারের মধ্যে হলে তাকে বলে ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে কায়ান্ট (kyant)। এ নামটি প্রস্তাব করে রেখেছে মিয়ানমার। এর আগের ঝড় রোয়ানুর নাম দিয়েছিল মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগর ও সংলগ্ন উপসাগরগুলোর তীরবর্তী রাষ্ট্র বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড ঠিক করে এ অঞ্চলের ঝড়ের নাম।
×