ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বিদ্যুৎ, জ্বালানি, কৃষি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী থাইল্যান্ড

প্রকাশিত: ১৯:৫৮, ২৫ অক্টোবর ২০১৬

বিদ্যুৎ, জ্বালানি, কৃষি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী থাইল্যান্ড

অনলাইন রিপোর্টার॥ বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে থাইল্যান্ডের। থাই ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও কৃষি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। অন্যদিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সিরামিক, ওষুধ ও অন্যান্য পণ্য রফতানি করতে আগ্রহী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, থাইল্যান্ড কিছুদিন আগে পর্যন্তও বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহী ছিল না। থাইল্যান্ড প্রথাগতভাবে আসিয়ান এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা করে। তবে সম্প্রতি থাই সরকারের পূর্বমুখী নীতির কারণে তারা বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, থাই বাণিজ্য মন্ত্রীর গত সপ্তাহে আসার কথা ছিল। কিন্তু থাই রাজা ভূমিবল মারা যাওয়ার কারনে সফরটি স্থগিত হয়েছে। এর আগে আগস্টে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যবসায়িক দল ঢাকা সফর করে বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ব্যবসায়িক দলে থাই বিনিয়োগ বোর্ডের উচ্চ কর্মকর্তারা ছাড়াও কয়েকজন শীর্ষ ব্যবসায়ী ছিল এবং তারা বাংলাদেশ বাজার যাচাই করছে। থাই জ্বালানি কোম্পানি সিয়াম গ্যাস বাংলাদেশে এলপিজি প্ল্যান্ট করতে আগ্রহী এবং এ বিষয়ে তারা প্রাথমিক আলোচনা শেষ করেছে। থাই এগ্রো-প্রসেসিং কোম্পানি সিপি বাংলাদেশে ব্যবসা করছে এবং তারা এখানে বিনিয়োগের মাত্রা বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছে। বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে রফতানি বৃদ্ধির জন্যও পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং তবে বাজার তৈরি করতে সময় লাগবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা জানান। তিনি বলেন, হঠাৎ করে পণ্যের বাজার তৈরি করা যায় না এবং এজন্য প্রয়োজন বাজার প্রচারণা। তিনি জানান, ‘কয়েক মাস আগে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ পণ্যের একটি শোকেস অনুষ্ঠান হয়েছিল যেখানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছিল। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল থাই ব্যবসায়ীদের দেখানো যে বাংলাদেশেও ভালোমানের পণ্য তৈরি হয় এবং সেটাতে আমরা প্রাথমিকভাবে সফল হয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সিরামিক পণ্য, ওষুধ, কৃষিজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রদর্শন করা হয় সেখানে। এখন আমাদের টার্গেট হচ্ছে থাইল্যান্ডে যে চেইন শপগুলো আছে তাদের সঙ্গে এদের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া যাতে করে ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি হয়।’ বাংলাদেশ থেকে পাটজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ সম্ভব কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাটজাত পণ্যেও বিষয়ে থাইদের আগ্রহ কম।
×