ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সামাজিক সচেতনতার নাটক ‘প্রিয় প্রতিপক্ষ’

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২৫ অক্টোবর ২০১৬

সামাজিক সচেতনতার নাটক ‘প্রিয় প্রতিপক্ষ’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মনন আসাদ। প্রতিশ্রুতিশীল নাট্য নির্মাতা। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অসংখ্য গুণী নির্মাতার প্রধান সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো খ- নাটক নির্মাণ করেছেন তরুণ নির্মাতা মনন আসাদ। লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রসূন রহমানের কাহিনী ও চিত্রনাট্যে ‘প্রিয় প্রতিপক্ষ’ নামে একটি খ- নাটক নির্মাণ করেছেন তিনি। নাটকের প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছে জাকিয়া বারী মম ও নাঈম। আরও অভিনয় করেছেনÑ মনিরা মিঠু, আহমেদ অপু, ইশরাত তৃষা, সুমন আচার্য, সঞ্জয় রাজ, নিলয় রহমান প্রমুখ। পরিচালক সূত্রে জানা গেছে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার নাটকটি এটিএন বাংলায় প্রচার হবে। নাটকের গল্প প্রসঙ্গে নির্মাতা মনন আসাদ জনকণ্ঠকে বলেন, মানুষের জীবনে যে কোন ভাঙ্গনই অসুন্দর। অন্তত বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এর প্রতিক্রিয়া মারাত্মক। আর বেশিরভাগ সময়েই এর করুণ শিকার হচ্ছে মেয়েরা। তবে ব্যাপারটি যে শুধু পুরুষের পক্ষ থেকে ঘটছে তাও নয়। নারীর দিক থেকেও হরহামেশাই হচ্ছে। এ রকমই একটি গল্পের চিত্রায়ন করা হয়েছে ‘প্রিয় প্রতিপক্ষ’ নাটকের মাধ্যমে। তিনি আরও বলেন ভালবাসা ও ভালবাসাহীনতার গল্প ‘প্রিয় প্রতিপক্ষ’। যেখানে দেখা যাবে অপু ও দীপা নামের এক দম্পতিকে। যারা ভালবেসে বিয়ে করে খুব অল্প সময়েই অন্যের প্ররোচনায় বিচ্ছেদের মুখোমুখি হয়। আইনের মুখোমুখি হতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ঘটনা মোড় নেয়। অন্যদিকে যার জন্য দু’জনের কেউ প্রস্তত থাকে না। এমনি একটি গল্পের চিত্রায়ন ‘প্রিয় প্রতিপক্ষ’। আশা করি নাটকটি দর্শকদের ভাল লাগবে। মনন আসাদ আরও বলেন, একটি স্বাধীন উদারনৈতিক জীবনের আকাক্সক্ষা আমাদের সবার। তবে সামাজিক জীবনে অন্যের অধিগ্রহণ থেকে মুক্ত থাকা যেমন জরুরী তেমনি একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ। আর এ প্রয়োজনেই যুগে যুগে তৈরি হয়েছে বিয়ে নামের সামাজিক প্রথা পুরুষ ও নারীর একসঙ্গে বসবাসের আইনসিদ্ধ প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে একটি কার্যকর বিয়ে যেমন দুজন মানুষের জীবনের পূর্ণতা আনে তেমনি একটি অকার্যকর বিয়ে সম্পর্কে আবর্তিত দুজন মানুষসহ তার আত্মীয়দের জন্যও হয়ে ওঠে বেদনাদায়ক। সে প্রয়োজনে আবার তৈরি হয়েছে বিবাহ বিচ্ছেদ। যা কখনও অনিবার্য হয়ে ওঠে কারও কারও জীবনে। আবার কারও জীবনে বেশিরভাগ সময়েই হয় এর অপব্যবহার। এ রকম অনেক দাম্পত্যের গল্পই আমরা জানি যা বিয়ে থেকে বিচ্ছেদে গড়াচ্ছে খুব সহজেই। বাংলাদেশে বিবাহ বিচ্ছেদের গড় হার বেড়ে চলেছে ক্রমে। ডিভোর্স নামের এই শব্দটি মিথ্যে স্বাধীনতার নামে বড় বেশি সস্তা হয়ে গেছে ইদানীং। দীর্ঘ সময় চেনাজানা এবং প্রেমের সম্পর্কের পরও বিয়ে ভেঙ্গে পড়ছে অবলীলায়। এই অবস্থায় সচেতনতা তৈরিতে এ ধরনের সামাজিক নাটক ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
×