ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাট পণ্যের ওপর এ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের আগে আলোচনা চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২৫ অক্টোবর ২০১৬

পাট পণ্যের ওপর এ্যান্টি ডাম্পিং  শুল্ক আরোপের আগে আলোচনা চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে পাটজাত পণ্য আমদানির ওপর প্রতিরক্ষামূলক শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছে ভারতীয় দফতর। সম্প্রতি দেশটির এ্যান্টি ডাম্পিং এ্যান্ড এ্যালাইড ডিউটিজ (ডিজিএডি) অধিদফতরের এ সুপারিশের বিষয়ে সরকার এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। দীর্ঘদিন ধরে ভারতের জুট মিলস এ্যাসোসিয়েশন (আইজেএমএ) স্থানীয় শিল্প ধ্বংসের অভিযোগ তুলে এ দুই দেশের পাট আমদানির ওপর শুল্ক আরোপের দাবি জানিয়ে আসছে, যার প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিজিএডি তদন্তও শেষ করেছে। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বিভিন্ন পাটজাত পণ্যে টনপ্রতি ১৯.৩০ ডলার থেকে ৩৫১.৭২ ডলার পর্যন্ত এবং নেপালের পাটজাত পণ্যে টনপ্রতি ৮.১৮ ডলার থেকে ৩৯.৯০ ডলার পর্যন্ত শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছে ডিজিএডি। এসব পণ্যের মধ্যে পাটের সুতা, চট ও চটের ব্যাগ রয়েছে। শুল্ক আরোপের এ খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে এরই মধ্যে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) বলেছে, এ সুপারিশ কার্যকর হলে বাংলাদেশের পাটচাষী এবং পাট পণ্য উৎপাদনকারী ও রফতানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ডিসিসিআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারত বাংলাদেশের জন্য অন্যতম বৃহৎ পাট ও পাটজাত পণ্যের আমদানিকারক দেশ। এ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করা হলে পাট রফতানিতে বাধা পড়বে, যা দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য কমাবে। দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান দীর্ঘদিনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক বিবেচনায় নিয়ে এ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত না নিতে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে সংগঠনটি।
×