স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ভিখারি তালিকা থেকে সেই তিন আওয়ামী নেতাকর্মীর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সোমবার দৈনিক জনকণ্ঠ ‘যশোরে ভিখারির তালিকায় আওয়ামী নেতা’ শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, মণিরামপুরের খেদাপাড়া ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিসহ শাসক দলের সচ্ছল তিন নেতাকর্মীর নাম ভিখারির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
মণিরামপুরের ইউএনও কামরুল হাসান তার ফেসবুক ওয়ালে ভিখারিদের যে তালিকা প্রকাশ করেছিলেন, সেটিই ছিল ওই রিপোর্টের প্রাথমিক উৎস। দৈনিক জনকন্ঠে প্রকাশিত তথ্যবহুল রিপোর্টটি ব্যাপক আলোচনায় আসে।
সোমবার মণিরামপুর ইউএনও’র ফেসবুক ওয়ালে দেখা যায়, খেদাপাড়া ইউনিয়নের ভিখারির তালিকায় ৯৭ জনের স্থলে ৯৪ জনের নাম রয়েছে। তালিকার ৯৫, ৯৬ ও ৯৭ নম্বরে থাকা তিন আওয়ামী নেতাকর্মীর নাম বাদ পড়েছে। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান ওই তিন ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই ওই তিনজনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি খুলনা বিভাগকে ভিখারিমুক্ত করার ঘোষণা দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুস সামাদ। সেই অনুযায়ী ভিখারিদের তালিকা চাওয়া হয় বিভাগের সব জেলা-উপজেলা থেকে। নির্দেশনা অনুযায়ী মণিরামপুর উপজেলা প্রশাসন ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকার ৮৭১ জন ভিখারির তালিকা প্রস্তুত করে। তার মধ্যে খেদাপাড়া ইউনিয়নের তালিকায় রয়েছে ৯৭ জনের নাম। ওই তালিকার ৯৫, ৯৬ ও ৯৭ নাম্বারে খেদাপাড়া ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জালালপুর গ্রামের হানেফ গাজী ও তার ভাইপো কামরুল এবং আরেক ভাইপো ইসহাক গাজীর স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের নাম ছিলো। আওয়ামী লীগ নেতা হানেফ গাজীর দুই ছেলে বিদেশে থাকেন। এ নিয়ে জনকণ্ঠ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে ওই তালিকা থেকে তিন আওয়ামী নেতাকর্মীর নাম বাদ দেয়া হয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: