ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে মধ্যরাতে ইলিশ মাছ নিধন ॥ বিক্রি হচ্ছে পাড়ের হাট-বাজার ও লঞ্চে

প্রকাশিত: ২৩:২৮, ২৪ অক্টোবর ২০১৬

মাদারীপুরে মধ্যরাতে ইলিশ মাছ নিধন ॥ বিক্রি হচ্ছে পাড়ের হাট-বাজার ও লঞ্চে

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ ইলিশ রক্ষায় প্রশাসনের অভিযান চলমান থাকা সত্বেও থামেনি মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকারীদের দৌরাত্ম। মধ্যরাত থেকে ভোররাত পর্যন্ত পদ্মা জুড়ে চলছে ইলিশ নিধন। শত শত জেলে নৌকা রাতভর নদীতে ইলিশ নিধন করছে। স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিলেও মাছ ধরা থামছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। জানা গেছে, রাতের অন্ধকারে লোকচক্ষু আড়াল করতে ট্রলারগুলোতে কোন আলোকবাতি ব্যবহার করছেন না। ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার মাঝে এভাবেই নতুন কৌশলে ইলিশ নিধন চলছে। শুধু মাদারীপুরের শিবচর নয় পদ্মা জুড়ে শরীয়তপুর জাজিরা, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং, ঢাকার দোহার, ফরিদপুরের সদরপুর অংশে পদ্মা নদীতে ইলিশ নিধনে মেতে উঠেছে জেলেরা। আর এই মাছ নদীর চরে রেখেই মুঠোফোনের মাধ্যমে নদী পাড়ের প্রত্যন্ত বাজার ও শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটের লঞ্চগুলোতে বিক্রি হচ্ছে। সোমবার ভোরে মাদারীপুরের শিবচরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরিফুল ইসলাম আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নদীতে অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে ৫শত মিটার জাল আটক করা হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া গত সপ্তাহে প্রশাসনের একটি টিম মধ্যরাতের নিরবতা ভেঙ্গে দুটি স্পিডবোট ও ট্রলারযোগে হানা দেয় মাঝ পদ্মায়। ধরা পড়ে ৪টি ইলিশ ধরার ট্রলার। জেলেদের প্রতিটি জালেই ছিল মা ও জাটকা ইলিশের প্রাধন্য। এ সময় বেশ কিছু নৌকা নদীতে জাল ফেলেই পালিয়ে যায়। ততক্ষনে বেশকিছু ইলিশ ও প্রায় ২ হাজার মিটার জালসহ ৩ জেলে আটক করা হয়। এরপর আটক ৩ জেলেকে ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালত। এ পর্যন্ত অভিযানে ২০ জন জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। কয়েকজন জেলেকে করা হয়েছে আর্থিক জরিমানা। তবুও প্রতিদিন স্থানীয় একটি চক্র প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে ইলিশ নিধন করেই চলছে। শিবচর থানার ওসি জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, “মধ্যরাতে ইলিশ ধরার বিষয়টি শনাক্ত হওয়ায় ইলিশ রক্ষায় আমরা এখন থেকে রাতভর অভিযান চালাবো।” শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইমরান আহমেদ বলেন, “ইলিশ নিধনে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রথম দিন থেকেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিদিনই জেলেদের আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হচ্ছে এবং জাল উদ্ধার করে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
×