ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাঈদ আজমলের আকুতি

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ২৪ অক্টোবর ২০১৬

সাঈদ আজমলের আকুতি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সব কত দ্রুতই না বদলে যায়। দুই মৌসুম আগেও তিনি ছিলেন পাকিস্তানের ‘নাম্বার ওয়ান’ বোলার, সাফল্যের সারথি। একের পর এক জয়ে মাঠে সতীর্থদের মধ্যমণি। জাতীয় দলে ফিরতে সেই সাঈদ আজমল এখন করুণ আকুতি জানাচ্ছেন। ‘যে যাই বলুক না কেন, যে যাই চিন্তা করুন, নিজের ক্ষমতার ওপর আমার অগাধ বিশ্বাস রয়েছে। বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অন্তত আরও একটি সুযোগ পাব। প্রমাণ করতে পারব, আমি এখনও ফুরিয়ে যাইনি। অবসর নিয়ে তাই একদমই ভাবছি না।’ ক্রিকেটের জনপ্রিয় সাইট ইএসপিএন-ক্রিকইনফোকে বলেন আজমল। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল পারফর্মেন্সের সুবাদে দেশের হয়ে আরও একটি সুযোগ পেতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন তিনি। ডানহাতি অফস্পিনার এজন্য জাতীয় নির্বাচকদের শুভদৃষ্টি কামনা করছেন। এ মাসেই ৩৯ বছরে পা দেয়া আজমল দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছেন, নানা সমালোচনা সত্ত্বেও খুব শীঘ্রই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায়ের কোন পরিকল্পনা তার নেই। ২০১৪ সালে অবৈধ বোলিং এ্যাকশনের কারণে আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ার আগে তিন ফরমেটের ক্রিকেটে আজমলই ছিলেন পাকিস্তানের সময়ের সফল উইকেট শিকারি। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডের টি২০ টুর্নামেন্ট ও পাকিস্তানের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে আমিই শীর্ষ উইকেট শিকারি, এর চেয়ে বেশি কি করার আছে জানা নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত ভাল বোলিং করেছি। মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, নির্বাচকরা আমার দিকে নজর দেবেন!’ ২০১৫Ñএর এপ্রিলে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সিরিজের পর জাতীয় নির্বাচকরা আজমলকে আর বিবেচনা করেননি। মূলত এ্যাকশন শোধরানোর পর সেই আজমলকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা তাকে ছাতু বানিয়ে ছেড়েছিলেন। আলোচিত অফস্পিনার মনে করেন, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর তিনি নতুন এ্যাকশন নিয়ে কাজ করার পর্যাপ্ত সুযোগ পাননি। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের সদস্য আজমল। তিনি বলেন, ‘আরেকবার, একবার হলেও পাকিস্তানের হয়ে মাঠে নামতে চাই। আমি সমর্থকদের হতাশ করতে চাই না।
×