ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নবজাতক মৃত্যুর হার না কমলে বাধাগ্রস্ত হবে এসডিজি অর্জন ॥ স্পীকার

প্রকাশিত: ০৬:২১, ২৪ অক্টোবর ২০১৬

নবজাতক মৃত্যুর হার না কমলে  বাধাগ্রস্ত হবে এসডিজি  অর্জন ॥ স্পীকার

বাংলাদেশের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে শিশু ও মাতৃমৃত্যু হ্রাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তবে অপর মাইলফলক জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে শিশু ও নবজাতক মৃত্যুহার আরও কমাতে হবে। বর্তমানে দেশে অনুর্ধ পাঁচ বছর বয়সী শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৪৬ জন। এদের ৬১ শতাংশ মারা যায় নবজাতক অবস্থায়। সে হিসেবে নবজাতক মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২৮ জন। শিশুমৃত্যুর এ হার হাজারে ২০ এবং নবজাতক মৃত্যুর হার হাজারে ১০-এ কমিয়ে না আনলে ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে হোঁচট খেতে হবে। শুক্রবার বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক এ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) তিন দিনব্যাপী চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। বিপিএ’র সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, সেভ দ্য চিলড্রেন ইউএসএর সিনিয়র ডিরেক্টর (নিউবোর্ন হেলথ) জয় রিগস পারলা। বক্তব্য রাখেন পেডিয়াট্রিক এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মোঃ রুহুল আমিন, সহ-সভাপতি অধ্যাপক চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, অধ্যাপক হামিদুর রহমান, মহাসচিব অধ্যাপক এম এ কে আজাদ চৌধুরী, অধ্যাপক জাহিদ হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শিশুস্বাস্থ্যে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় অধ্যাপক এম আর খানকে লাইফটাইম এ্যাচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড ২০১৬ ও অধ্যাপক এম কিউ কে তালুকদারকে আউটস্ট্যান্ডিং এশিয়া প্যাসিফিক পেডিয়াট্রিসিয়ান এ্যাওয়ার্ড ২০১৬ প্রদান করা হয়। সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও রাশিয়া থেকে ১২ জন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিশু বিশেষজ্ঞ যোগ দেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘মা শিশু ও কিশোরীদের স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে মা ও শিশু মৃত্যুর হার রোধ করে এমডিজি চার অর্জন করেছি। তিনি বলেন, আমাদের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ এসডিজি অর্জন। এজন্য তিনি সরকারের পাশাপাশি শিশু চিকিৎসকসহ উন্নয়ন সহযোগীদের যথার্থ পদক্ষেপের মাধ্যমে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অধ্যাপক কামরুল হাসান খান বলেন, শিশু চিকিৎসায় বিএসএমএমইউর সিন্ডিকেট মিটিংয়ে এই প্রথমবারের মতো পেডিয়াট্রিক ফ্যাকাল্টি খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে চালু হয়েছে শিশু পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি ও পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি বিভাগ। অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, হাসপাতালে ডেলিভারি অথবা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ধাত্রীর দ্বারা ডেলিভারির বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলে মৃত্যুহার কমানো সম্ভব হবে। তাছাড়া আরও শিশু চিকিৎসক, সেবিকা ও ধাত্রীদের নিয়োগ ও উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের পরিবেশ তৈরি করা উচিত। তিনি বলেন, তারা যদি সঠিকভাবে সন্তান প্রসব করানো, বুকের দুধ পান, নাভি কাটাসহ আনুষঙ্গিক কাজগুলো সঠিকভাবে করে তবে মা ও নবজাতক মৃত্যুহার রোধ হবে। Ñবিজ্ঞপ্তি
×