ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঋণ দিতে না পেরে স্বামীর আত্মহত্যা- দিশেহারা এক নারীর দুঃসহ জীবন!

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২৪ অক্টোবর ২০১৬

ঋণ দিতে না পেরে স্বামীর আত্মহত্যা- দিশেহারা এক নারীর দুঃসহ জীবন!

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে স্বামী আত্মহত্যা করলেও দেনার দায় থেকে মুক্তি মেলেনি অসহায় এক নারীর। পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তিটির আত্মহননের পর সংসার চালাতে যেখানে তিনি হিমশিম, সেখানে কী করে তিনি পরিশোধ করবেন এনজিওর পাওনা ৩৫ হাজার টাকা। এমন আকুতি জানিয়ে ঋণের দায় থেকে মুক্তি পেতে চান ওই গৃহবধূ। যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা বাজারসংলগ্ন তেলিধান্যপুড়া গ্রামের জালাল উদ্দীন বিশ্বাসের মেয়ে তাসলিমা খাতুন জানান, তিনি গত মার্চ মাসে এক লাখ টাকার ঋণ নিয়ে স্বামীকে দেন। নিয়ম অনুযায়ী ৩০ হাজার টাকার কিস্তি পরিশোধ করেন। ঋণের টাকায় বাড়ি নির্মাণ করে বাকি কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন তার স্বামী। তাসলিমার দাবি তার স্বামী মনিরুল ইসলাম ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধে অপারগ হয়ে গত ১০ জুলাই আত্মহত্যা করেন। তাসলিমা জানিয়েছেন ৩০ হাজার টাকার কিস্তি ও সঞ্চয়ের ৩০ হাজার টাকাসহ মোট ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। ঋণের বাকি ৪০ হাজার ও সুদের টাকা মওকুফের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন ফল হচ্ছেনা। কিশোর দুই ছেলেকে নিয়ে নিরুপায় তাসলিমা প্রত্যাশা অনুযায়ী সুবিধা না পেয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। ঋণদাতা সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ঋণ গ্রহীতা বা তার স্বামীর মৃত্যু হলে তারা নগদ পাঁচ হাজার টাকা সাহায্য পান। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ মওকুফ করা হয়। এর বাইরে তাসলিমাকে সহযোগিতা করার কোন সুযোগ তাদের নেই। উক্ত কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী তাদের সহযোগিতার পরও তাসলিমার কাছে সংস্থার পাওনা রয়েছে ৩৫ হাজার টাকা।
×