ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মসুলে সালফার কারখানায় আইএস জঙ্গীদের আগুন

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ২৪ অক্টোবর ২০১৬

মসুলে সালফার কারখানায় আইএস জঙ্গীদের আগুন

ইরাকে আইএসবিরোধী লড়াইয়ের কেন্দ্রে পরিণত হওয়া মসুলের একটি সালফার কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়ায় অসুস্থ সহস্রাধিক ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কুসে হামিদ খাদেম নামে এক ইরাকী কমান্ডার জানিয়েছেন, ধোঁয়ায় দুই বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু হওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ অসুস্থ হয়েছে। এ ঘটনায় এক হাজার মানুষকে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যায় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার মসুলের দক্ষিণে আল-মিশরাক নামে ওই সালফার কারখানা ঘিরে যুদ্ধের সময় আইএস জঙ্গীরা কারখানাটিতে আগুন দেয় বলে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন। খবর বিবিসির। মসুল থেকে আইএস জঙ্গীদের বিতাড়িত করতে ইরাকের সরকারপন্থী বাহিনীর অভিযানে এরই মধ্যে কিছু এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে জঙ্গীরা। ইরাকী বাহিনী ইতোমধ্যে আইএস নিয়ন্ত্রিত মসুলের ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত শহর কারাকশে প্রবেশ করেছে। কারাকশই ইরাকে বসবাসরত খ্রিস্টানের সবচেয়ে বড় শহর। তবে এটি এখন প্রায় ফাঁকা বলা যায়। আইএস জঙ্গীরা সেখান থেকে মসুলের পথে অসংখ্য স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে। আর একইসঙ্গে মসুলের দক্ষিণে কায়েরা এলাকায় থাকা সালফার কারখানাটির আগুনে বিষাক্ত ধোঁয়া বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে কাছেই থাকা যুক্তরাষ্ট্রের একটি সেনা ঘাঁটিতেও পৌঁছে যায় শনিবার, যাতে গ্যাসরোধী মুখোশ পরতেও বাধ্য হন সেনা সদস্যরা। ওই বিবিসি বলছে, ওই সালফার কারখানাটি যে এলাকায় রয়েছে সেই কায়ারাকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে মসুল থেকে আইএস হটাতে ইরাক সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। একই রকম আগুনে ২০০৩ সালে দুই সপ্তাহ ধরে পুড়েছিল আল-মিশরাক কারখানা; বাতাসে ছড়িয়েছিল বিপুল পরিমাণ সালফার-ডাই অক্সাইড। এতে স্থানীয়দের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যার পাশাপাশি পরিবেশেরও ক্ষতি হয়। সালফার কারখানায় ঐ আগুনের ফলে যে বিষাক্ত ধোঁয়া বের হচ্ছে তা কায়ারা শহরের অধিবাসীরা দেখছে এবং অনুভব করছে সামরিক বাহিনী সদস্য এবং সাংবাদিকরাও এ বিষাক্ত ধোঁয়ার শিকার হয়।
×