ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অতুলপ্রসাদ সেন স্মরণে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আয়োজন

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ২৪ অক্টোবর ২০১৬

অতুলপ্রসাদ সেন স্মরণে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আয়োজন

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বাঙালীর ব্যক্তিগত উদ্ভাসন ও সামূহিক উদ্দীপনের অন্যতম প্রধান অবলম্বন গান। বাংলা সঙ্গীতের নিজস্ব একটা বৈশিষ্ট্য ও বৈচিত্র্যপূর্ণ রূপ আছে। এই রূপকারদের অন্যতম অতুলপ্রসাদ সেন। হিন্দুস্তানী রাগসঙ্গীতের সৌকুমার্যকে বাংলা নাগরিক গানের ভাবে প্রকাশ করেছেন। তার বৈচিত্র্যময় জীবনের নানা অনুভূতি আর মানবজীবনের বেদনাবহুল উপলব্ধি কবি-কল্পনাকে চিরদিন মগ্ন রেখেছিল প্রেম, ভক্তি আর দেশাত্মবোধের মায়াজালে। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আগামী বৃহস্পতিবার ডেইলি স্টার-বেঙ্গল আর্টস প্রিসিঙ্কটে আয়োজন করেছে অতুলপ্রসাদ সেনের সৃজনশীল গানের সম্ভার নিয়ে সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘মম মনের বিজনে’। অনুষ্ঠানে গান শোনাবেন লাইসা আহমদ লিসা ও সিফায়েত উল্লাহ। ঢাকা জেলায় ১৮৭১ সালের ২০ অক্টোবর অতুলপ্রসাদ সেন জন্মগ্রহণ করেন। প্রতিদিন সকালে পিতা রামপ্রসাদ সেনের গাওয়া গান ও তার আবৃত্তি শিশু অতুলপ্রসাদকে দারুণ নাড়া দিত। কৈশোরেই পিতার মৃত্যুর পর তিনি মাতামহ কালী নারায়ণ গুপ্তের আশ্রয়ে প্রতিপালিত হন। কালী নারায়ণ ছিলেন ভক্তিগীতি রচয়িতা ও গায়ক। এর প্রভাবেই অতুলপ্রসাদের সঙ্গীতজগতে প্রবেশ ঘটে। ১৮৯০ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষা পাস করে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা করেন। পরে ইংল্যান্ড থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে দেশে ফিরে আসেন। কলকাতায় আইন ব্যবসা শুরু করলেও, লক্ষেœৗতে আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান। লক্ষেèৗর সাংস্কৃতিক জীবনধারার সঙ্গে নিজেকে বহুভাবে যুক্ত করেছিলেন অতুলপ্রসাদ। তার শ্রেষ্ঠ পরিচয় গীতরচয়িতা, সুরকার ও গায়করূপে। গীতিবাহিত ভাবের সঙ্গে সুরের অর্থবহ সম্মিলনে তার গীতিকর্মের ভিত্তিভূমি গঠিত। লক্ষেèৗতে হিন্দুস্তানী গীতরীতির সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। বাংলা কাব্যসঙ্গীতের মূল মেজাজটি অক্ষুণœ রেখে তাতে ঠুংরি ও গজলের ঢংটি যুক্ত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করেন তিনি। কীর্তন, বাউল গানের গীতরীতিকেও গভীর রসোত্তীর্ণভাবে তার সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত করেন। বিগলিতহৃদয় ভক্তিসঙ্গীতে ও বেদনার্ত প্রেমগীতি এবং দেশপ্রেমের অত্যুজ্জ্বল গানে তার বিশিষ্টতা লক্ষণীয়।
×