ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসবে ‘তামাশা’

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ২৪ অক্টোবর ২০১৬

গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসবে ‘তামাশা’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবে আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হবে চন্দ্রকলা থিয়েটারের অন্যতম প্রযোজনা নাটক ‘তামাশা’। কমেডি ধাঁচের এই মৌলিক নাটকটির রচনার পাশাপাশি নির্দেশনাও দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এইচ আর অনিক। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন এইচ আর অনিক, মলি, বাধন, অবনী, আনিস, মাসুম, ইব্রাহিম, আপন, আব্দুল আহাদ, হাসান, রবিন, আব্দুল মান্নান। নাটকের আবহ সঙ্গীত-এস এম অঙ্গন ও সাদ্দাম, আলোক প্রক্ষেপণ- তানজিল হোসেন, রূপসজ্জায় এম এইচ মাসুম। নাটকের প্রযোজনা উপদেষ্টা মামুনুর রশীদ। ‘তামাশা’ নাটকের কাহিনীতে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জনজীবন আর ঘটমান চালচিত্র রসময় কথোপকথনে তুলে ধরা হয়েছে। নাটকের গল্পে দেখা যায় এখানে একটি প্লটে দুটি বাড়ি। একটির মালিক টুন্ডা হাজী, ভাঙ্গারীর ব্যবসা আছে তার। আার্থিক অবস্থা ভাল তাই ঢাকাইয়্যা রীতি অনুযায়ী যৌবনেই হজ করেছেন। কেউ কোন অন্যায় করলে তাকে মেরে হাত-পা ভেঙ্গে দিত বলেই তার নাম টুন্ডা হাজী। তার একমাত্র কন্যা লাইলী। সিনেমা দেখা ও ফ্যাশন করা তার কাজ। টুন্ডা হাজীর বোন- নূরজাহান। আর আছে টুন্ডা হাজীর অদ্ভুত এক পিএস। আরেক বাড়ির প্রধান মঞ্জিলা বেগম, খুবই রাগী। স্বর্ণের ব্যবসা আছে তার। তার স্বামী চাঁন মিয়া ঘরজামাই। ঘরজামাই বলে তার কোন সিদ্ধান্ত দেয়ার অধিকার নাই। মঞ্জিলা বেগমের একমাত্র সন্তান বাবুল। বন্ধু-বান্ধব আড্ডা দেয়াই হলো তার প্রধান কাজ। মঞ্জিলা বেগমেরও আছে এক অদ্ভুত পিএস। মঞ্জিলা বেগমের একমাত্র ভাই-ইউনুস। দুই বাড়ির মাঝে একটি দেয়াল বাড়ি দুটিকে আলাদা করেছে। টুন্ডা হাজী ও মঞ্জিলা বেগমের সঙ্গে ৫ বছর আগে ঝগড়া হয়েছিল। ঝগড়া অলংকৃত হয়েছিল নূরজাহান ও ইউনুছের প্রেমের কারণে। তারপর নাটকীয়ভাবে পঞ্চায়েতের বিচারে দু’জনকে আলাদা করে দেয়া হয়। সেই থেকেই ইউনুস সৌদি আরব থাকে। এসব ঝগড়ার মূল কারণই ছিল, অর্থনৈতিক সঙ্কট। এদিকে বাবুল আর লাইলীর প্রেমের ঘটনা ঘটে। বুঝে ফেলে দুই পরিবারের প্রধানরা। এর মাঝে চলে আসে ইউনুছ। ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে। ঘটনাক্রমে ইউনুছ আবার দুর্বল হয়ে পড়ে নূরজাহানের প্রতি। ধীরে ধীরে একাধিক ঘটনার মধ্য দিয়ে গল্পে আরও জটিলতা তৈরি হয়। ইউনুছ, বাবুল, নূরজাহান, লাইলী সিদ্ধান্ত নেয় যে, তাদের বাবা-মাকে অপহরণ করবে। এভাবেই টুন্ডা হাজী ও মঞ্জিলা বেগমের দুই পরিবারের মধ্যে সংগঠিত বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ‘তামাশা’ নাটকের কাহিনী এগিয়ে যায়।
×