ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গাড়ি কেনার জন্য বাড়ানো হলো প্রকল্প ব্যয়

প্রকাশিত: ০৩:৩৭, ২৪ অক্টোবর ২০১৬

গাড়ি কেনার জন্য বাড়ানো  হলো প্রকল্প ব্যয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সাউথ এশিয়া সাব রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) সংযোগ সড়ক প্রকল্প (২) ‘এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের ব্যয় হঠাৎ করেই আবার বাড়ানো হয়েছে। মূলত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যবহারের জন্য চালকসহ ২১টি গাড়ির অনুমোদন দেয়ায় এ ব্যয় বাড়ছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়। তখন প্রকল্পটির আওতায় গাড়ি ও চালকের অনুমোদন ছিল না। নতুন করে ২১টি গাড়ি কেনা ও ২১ জন চালক নিয়োগ দেয়া ছাড়াও পরামর্শক ও আউট সোর্সিং স্টাফ নিয়োগের কারণে দেড় মাসের মাথায় প্রকল্পটির ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে ৩৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় সেসব গাড়ি কেনাকে অপ্রয়োজনীয় মনে করেছিল একনেক সভা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ বিভাগও সাসেক-২ প্রকল্পের আওতায় চালকসহ গাড়ি কেনার অনুমতি দেয়নি। প্রকল্পটির জন্য ১১টি জিপ, নয়টি পিক-আপ, একটি মাইক্রোবাস কেনা হবে। ৩ হাজার ৩৮৪ জন পরামর্শকসহ এনজিওর মাধ্যমে আরও ৭৯৫ জন সার্ভিস দেবেন। প্রকল্পের আওতায় আউট সোর্সিং স্টাফ থাকবেন ৪ হাজার ৩৮০ জন। এছাড়া আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ২১ জন গাড়িচালক নিয়োগের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা করে ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) পুনর্গঠন করা হয়েছে। একনেক সভায় উপস্থাপিত ডিপিপির মোট প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে ১৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে আউট সোর্সিং স্টাফদের বেতন ও ভাতা খাতে। ২১টি গাড়ি কেনার জন্য ১৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং পরামর্শক সেবা খাতে ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ করা হবে। প্রকেল্পের সমন্বয়ক (সড়ক ও জনপথ অধিদফতর) নাজমুল হক বলেন, প্রথমে প্রকল্পের জন্য চালকসহ গাড়ি কেনার অনুমোদন দেয়া হয়নি। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে কর্মকর্তাদের জন্য গাড়ি কেনা দরকার। পরে চালকসহ ২১টি গাড়ি কেনার অনুমোদন পাওয়া গেছে। ব্যয় বৃদ্ধির পরে চূড়ান্ত ডিপিপিতে এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক ২ হাজার ৬৩৫ মিটারের তিনটি ফ্লাইওভার, ৪১১ মিটারের একটি রেলওয়ে ওভারপাস, ৩২টি ব্রিজ, ১৬১টি কালভার্ট, ১১টি পথচারী ওভারপাস, ৩৯টি আন্ডারপাস এবং একটি ইন্টারচেঞ্জ নির্ধারণ করা হয়েছে। ফোরলেন জুড়ে ৮০টি ‘বাস-বে’ নির্মাণ করা হবে। ১৯০ কিলোমিটারের ফোরলেন মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন।
×