ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মাসেতু

মাওয়ায় পৌঁছেছে দু’হাজার কিলোজুলের হ্যামার

প্রকাশিত: ০৮:২০, ২৩ অক্টোবর ২০১৬

 মাওয়ায় পৌঁছেছে দু’হাজার কিলোজুলের হ্যামার

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ দুই হাজার কিলোজুল ক্ষমতার জার্মান হ্যামারটি মাওয়ায় এসে পৌঁছেছে! পদ্মা সেতুর পাইল স্থাপন করতে এটি চীন থেকে আনা হয়েছে। শনিবার দুপুরে এটি মাওয়ায় এসে পৌঁছয়। এখন এটিকে আপলোড করার কাজ চলছে। রাতে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। জার্মানি থেকে দুই হাজার কিলোজুলের হ্যামারটি সমুদ্র পথে ১৭ অক্টোবর মংলা পৌঁছে। এরপর আনলোড ও কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের পর লাইটারেজে বৃহস্পতিবার বিকেলে মাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। এর আগেই হাজার টন ওজনের ভাসমান ক্রেন বৃহস্পতিবার মাওয়ায় পৌঁছয়। এই ক্রেনই হ্যামারটি পরিচালনা করবে। আনলোডের পর হ্যামারটি এখন চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এ নিয়ে পদ্মা সেতুর কাজে তিনটি হ্যামার আনা হলো। হ্যামার চালাতে এক হাজার টন ধারণক্ষমতার আরেকটি ফ্লোটিং ক্রেনও এসে গেছে। গত বছর জার্মানি থেকে বিশেষ অর্ডারে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হ্যামার তৈরি করে নিয়ে আসা হয়। ২৪শ’ কিলোজুল ক্ষমতার হাইড্রলিক হ্যামারটি দিয়ে একের পর এক পাইল ড্রাইভের কাজ চলছে। এছাড়াও দুই হাজার কিলোজুলের আরও একটি হ্যামার আগেই পদ্মা সেতুর কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। এ নিয়ে মাওয়ায় তৃতীয় হ্যামার এলো। এছাড়াও মাওয়া আসছে চার হাজার টন ক্ষমতার ক্রেন। পদ্মা সেতুর কর্মযজ্ঞে ব্যবহৃত এটিই সবচেয়ে ভারি যন্ত্র। বিশাল এই ক্রেনই পদ্মা সেতুকে দৃশ্যমান করবে। পদ্মা সেতুর এক স্প্যান পরিমাণ (১৫০ মিটার) সুপার স্ট্রাকচার ক্রেনই তুলে নিয়ে পিলারে বসিয়ে দেবে। এক স্প্যান সুপার স্ট্রাকচারের ওজন প্রায় ২ হাজার ৯শ’ টন। আর এই ক্রেনের ধারণক্ষমতা চার হাজার টন। তাই সুপার স্ট্রাকচারটি অনায়াসেই বসিয়ে দিতে পারবে। গত ১২ অক্টোবর চীনের জোহাও থেকে মাদার ভেসেলে সমুদ্র পথে এটি রওনা হয়েছে। নবেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ক্রেনটি মাওয়া পৌঁছার কথা রয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের (মূল সেতু) জানান, ২০১৮ সালে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের এই দ্বিতল সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু করতে এসব ভারি যন্ত্রপাতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মাওয়ার কুমারভোগের ওয়ার্কশপে সুপার স্ট্রাকচার জয়েন্টের কাজ দ্রুত এগুচ্ছে। এক ¯প্যান সুপার স্ট্রাকচার জয়েন্টের কাজ করতে একমাস সময় লাগে। আর জায়েন্ট হয়ে গেলে সেটি পিলারের উপরে একদিনেই বসানো সম্ভব। প্রথম স্প্যানটি লাগানো হবে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর।
×