ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আকিল জামান ইনু

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ২৩ অক্টোবর ২০১৬

আকিল জামান ইনু

বর্তমান বিশ্বে যে কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে ব্যাংক ও ব্যাংকিং সিস্টেম। অর্থনীতির পাঠকমাত্রই বিশ্বসেরা ব্যাংকগুলো সমন্ধে জানতে আগ্রহী। পুঁজিবাদী অর্থনীতির প্রতিযোগিতায় বড় ব্যাংকগুলো লিপ্ত একে অপরকে টপকে যাওয়ার চেষ্টায়। তাই প্রায়শই পরিবর্তন আসে তালিকায়। মূলত এই তালিকায় মানদ- বা সূচক দুটি যার ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোর অবস্থান নির্ণীত হয়। মানদ- দুটি হলো - (১) সামগ্রিক সম্পদের ভিত্তিতে (২) মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনের ভিত্তিক। (ক) সামগ্রিক সম্পদের ভিত্তিতে সেরা পাঁচ ব্যাংক (১) ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৬১৬.৩৯ বিলিয়ন ডলার (২) চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক কর্পোরেশন সম্পদের পরিমাণ ২৯৩৯.১৫ বিলিয়ন ডলার। (৩) এগ্রিকালচার ব্যাংক অব চায়না মোট সম্পদ ২৮১৬.৬০ বিলিয়ন ডলার। (৪) এইচ এসবিসি হোল্ডিং মোট সম্পদ ২৬৭০ বিলিয়ন ডলার (৫) ব্যাংক অব চায়না-মোট সম্পদ ২৬২৯.৩১ বিলিয়ন ডলার দুটো তালিকা বিবেচনায় চাইনিজ ব্যাংকগুলোর প্রাধান্য স্পষ্ট। অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসেবে চায়নার উত্থানের সহায়ক শক্তি। সামগ্রিক সম্পদ বিবেচনায় প্রধান পাঁচটি ব্যাংকের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস : ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না লিঃ (আইসিবিসি) এটি একটি চাইনিজ বহুজাতিক ব্যাংকিং কোম্পানি এবং বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বড় ব্যাংক বলে বিবেচিত। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চাইনিজ ‘বিগ কোর’ ব্যাংকের এটি একটি, কোন চাইনিজ ব্যাংক হিসেবে বিশ্বে সর্ববৃহৎ হওয়ার প্রথম সম্মান অর্জন করে এই ব্যাংক। ১৯৮৪ সালের ১ জানুয়ারি এটি লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। জুন ২০১৫তে এর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩.৬১৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। ‘দি ব্যাংকারস’-এর তালিকায় সেরা ১০০০ ব্যাংকের মধ্যে বর্তমানে আইসিবিসির অবস্থান প্রথম। চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক (সিসিবি) সিসিবি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৪ এর ১ অক্টোবর তৎকালীন নাম ছিল ‘পিপলস কনস্ট্রাকশন ব্যাংক অব চায়না’ যা পরবর্তীতে ‘চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক’ নাম ধারণ করে ২৬ মার্চ ১৯৯৬-এ। এটি জয়েন্ট স্ট্রকে কমার্শিয়াল ব্যাংক হিসেবে তালিকায়ভুক্ত হয় সেপ্টেম্বর ২০০৪-এ কর্তৃপক্ষের আইনগত অনুমোদন সাপেক্ষে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৪-এ সিসিবি স্বতন্ত্র আইনত অস্তিত্ব লাভ করে। নিজ দেশে ব্যাংকটির শাখার সংখ্যা ১৩,৬২৯-এ ছাড়াও পৃথিবীর নানা দেশে এর অসংখ্য শাখা রয়েছে। এ ব্যাংকের প্রাক্তন দু’জন চেয়ারম্যান ঘুষ গ্রহণের অপরাধে জেলে রয়েছেন। এগ্রিকালচার ব্যাংক অব চায়না (এবিসি) এটি ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত, হেড কোয়ার্টার ডংচেং ডিস্ট্রিক্ট বেজিং। এর ব্যক্তি গ্রাহক সংখ্যা ৩২০ মিলিয়ন আর কর্পোরেট গ্রাহক ২.৭ মিলিয়ন। এর শাখার সংখ্যা প্রায় ২৪ হাজার। এটি ২০১০ এর মধ্যভাগে সে সময়ের সর্ববৃহৎ আইপিও নিয়ে বাজারে আসে। যদিও পরবর্তীতে আরেকটি চাইনিজ কোম্পানি আলীবাবা তাদের ছাড়িয়ে যায়। এইচ এসবিসি হোল্ডিং এটি বর্তমানে ব্রিটেন থেকে পরিচলিত একটি বহুজাতিক ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিক সেবা প্রদানকারী কোম্পানি, যার হেড কোয়ার্টার লন্ডনে। এর বর্তমান রূপটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯০-এ হংকং এ্যান্ড সাংহাই ব্যাকিং কর্পোরেশন কর্তৃক। এটি মূল উৎস হংকংয়ে, যা পরে ক্ষুদ্রাকারে সাংহাইয়ে বিস্তৃত হয় ১৮৫৬তে প্রথম শাখা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। ৭১টি দেশে বিস্তৃত এর রয়েছে ৬ হাজার অফিস আর গ্রাহক সংখ্যা ৬০ মিলিয়ন।
×