ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিজয়ী হওয়া নয় টিকে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ ॥ বাঁধন

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২৩ অক্টোবর ২০১৬

বিজয়ী হওয়া নয় টিকে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ ॥ বাঁধন

অসংখ্য প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে ‘ফেয়ার এ্যান্ড লাভলী মেন-চ্যানেল আই হিরো’ প্রতিযোগিতার এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সাভারের ছেলে বাঁধন সাহা। সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের নবরাত্রি হলে এ প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফিনাল অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে বাঁধনের সঙ্গে কথা হয়। হিরো হওয়ার অনুভূতি কেমন? বাঁধন : আসলে আমি মনে করি কষ্ট করলে সাফল্য পাওয়াই যায়। এই প্রতিযোগিতা নিয়ে যখন স্টাডি করি তখন ভাবতেই পরিনি এতদূর পর্যন্ত আসব। এবং শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হব। তবে আমি মনে করি বিজয়ী হওয়াটাই আসল কথা নয়। শেষ পর্যন্ত টিকে থাকাটাই আসল চ্যালেঞ্জ এবং সাফল্য। যে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন তা কি পূরণ কি হয়েছে? বাঁধন : এখনও হয়নি তবে আশা করি হবে। চেষ্টার মাধ্যমে আমি টিকে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। স্বপ্নপূরণের একটি দরজা কেবল পার হলাম। আমি ভাল করেই জানি যে এই অঙ্গনে দেশের এবং দেশের বাইরের সংশ্লিষ্ট মানুষদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হবে। তবে আমার প্লান আছে স্টেজ বাই স্টেজ যাওয়া। হিরো হওয়ার পর বন্ধুবান্ধব বা কাছের মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? বাঁধন : তাদের প্রতিক্রিয়া অনেক ভাল, তারা আমার সাকসেস নিয়ে অনেক আশাবাদী। আমি কিছু একটা করতে পারব। কারণ তারা আমাকে বিভিন্নভাবে অনেক অনেক সাপোর্ট করেছে। মঞ্চে নাম ঘোষণার সময় অনুভূতি কেমন ছিল? বাঁধন : আমি আসলে চিন্তা করতে পারিনি যে আমি চ্যাম্পিয়ন বা সেরা হব। কারণ এতবড় একটা এ্যাচিভমেন্ট সেই মুহূর্তের অনুভূতি বোঝানো অনেক কষ্ট। বিশেষ করে ওই মুহূর্তে আমি ম্যান্টলি ব্ল্যাংক হয়ে গিয়েছি যে হাউ আই উইল বিকেইম। বাট সব চেয়ে বড় এ্যাচিভমেন্ট যখন আমরা তিনজন সামনে যাই এত ফটোগ্রাফ কনটিনিউসলি ক্লিক করছে, সেই মুহূর্তে সামনে কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। জাস্ট লাইট। ব্লিংকিং লাইট। প্রতিযোগিতায় ক্যাম্পের সময়ের অভিজ্ঞতা কেমন ? বাঁধন : প্রথম রাউন্ডে ২০ জন ছিল। এরপর ৫জন বাদ হয়ে যায়। তখন এ বিষয়টা ততটা ফিল করিনি। বাট আস্তে আস্তে যখন দু’জন তিনজন করে চলে যায় তাও অনেক প্রিয় বন্ধু চলে যায় তখন বিষয়টা নিতে পারতাম না খারাপ লাগত। যাদের সঙ্গে থাকতাম তারাই নেক্সড রাউন্ডে বাদ পড়ে যেত। এরপর নতুন ফেন্ড বাধতে হতো। তবে শেষের দিকে যখন ছিলাম তখন একা একা লাগত। বিশেষ করে যখন আমরা ১০জন ছিলাম তখন খুব আড্ডা দিতাম। বাট যখন আমরা ৫জন হলাম তখন আমাদের আড্ডাটা একটু কমে গেল। তবে আমাদের মধ্যে অনেক খুনসুটি হতো। খুব ভাল সময় কাটিয়েছি ওই সময়। সাফল্যের শুরুতেই হুমায়ূন আহমেদের গল্পের চলচ্চিত্রে কাজ করতে যাচ্ছেন অনুভূতি কেমন? বাঁধন : চলচ্চিত্রে কাজ করতে পারাটাও আমার জন্য সৌভাগ্যের। এটা নিয়ে আমার রিসার্চ করতে হবে। তারপর আমি এটা নিয়ে কাজ করব। চলচ্চিত্রে সুযোগ দিয়ে সংশ্লিষ্টরা আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন আমি তা রক্ষা করার চেষ্টা করব। তবে ভাল করার চেষ্টা থাকবে আমরা এটা বলতে পারি। প্রতিযোগিতার শুরুর দিকটা জানতে চাই। বাঁধন : আসলে শুরুর দিকে আমার প্রস্তুতি তেমন ছিল না। শুরুর দিকে আমার বিবিএর লাস্ট সেমিস্টার ছিল। রেজাল্টও দেয়নি তখনও। সে সময় আমার এক ফ্রেন্ড রেজিস্ট্রি করে আমাকে নিয়ে আসে। শুরুর দিকে জানতাম না যে এ রকম একটি প্রোগ্রাম হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ আর্মি ইনভলব থাকার কারণে আমি প্রথমে এতে জয়েন করি। এরপর আস্তে যখন টপ টেনে আসি তখন আমার ভেতর কাজ করে যে আমি পারব। এরপর আমি আরও একধাপ ক্রস করি। সব মিলে আমার কাছে সব কিছু নতুন ছিল। প্রতিযোগিতার গ্রুমিংয়ের অংশ হিসেবে টিভিসি বলেন, শর্ট ফিল্ম বলেন, সব কিছু মিলে আমাদের এই জার্নিটা ভিন্ন এক লাইফ ছিল। কিছু বাধাও ছিল। সবার প্রচেষ্টায় আমি সফল হয়েছি। তবে আমি যাতে সামনে ভাল কিছু করতে পারি এ জন্য সংশ্লিষ্টদের দোয়া ও সহযোগিতা চাই। Ñসাজু আহমেদ
×