স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ শরণখোলায় শত শত অসহায় নারী, পুরুষকে একটি বেসরকারী সংস্থায় দীর্ঘ মেয়াদী ডিপিএস, ফিক্সডিপোজিটসহ ভাগ্য উন্নয়নের প্রলোভন দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে। শনিবার দুপুরে শরণখোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তেন সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার রাজৈর এলাকার বাসিন্দা লাল মিয়া তালুকদারের ছেলে রতন তালুকদার এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগ, ২০০৯ সালে সদর উপজেলার অর্জুন বহার গ্রামের সত্তার হাওলাদারের পুত্র ঢাকার হালিমা সত্তার সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক পরিচয়দানকারী (প্রতারক এমডি) এম. সোলায়মান হোসেন শরণখোলা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় নারী পুরুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য তার সংস্থার মাধ্যমে ৫/৭/১০ বছর মেয়াদী ২০০/ ৫০০/ ১০০০/২০০০ টাকাসহ বিভিন্ন টাকার ডিপিএস ও ফিক্সডিপোজিট, সঞ্চয়, শিক্ষা, সামাজিক কার্যক্রম, স্বাস্থ্য সেবা, আইনী সহায়তা, যৌতুক প্রতিরোধসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্যের মার্কেটিংয়ের কথা বলে রতনকে শরণখোলা অফিসের দায়িত্ব প্রদান করেন। গত ৭ বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আট শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে অর্ধ কোটি টাকার সঞ্চয় ও ডিপিএস ওই সংস্থার মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়। মাঠপর্যায় থেকে উত্তোলিত টাকা সংস্থার নিয়ম অনুসারে গ্রহণ করেন ওই প্রতারক এমডি সোলায়মান সমুদয় টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু অধিকাংশ গ্রাহকের ডিপিএস ও ফিক্সডিপোজিটের মেয়াদ কয়েক বছর পূর্বে শেষ হয়ে গেলে তাদের টাকা না দিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করেন ওই প্রতারক। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার তার সঙ্গে শরণখোলা অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বৈঠক করলেও তিনি কোন টাকা পরিশোধ না করে উল্টো নানা ভয়ভীতি দেখান এবং অফিস বন্ধ করে দিয়ে তিনি সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পরিচালক পদে যোগদান করেন। এতে গ্রাহকদের রোষানলে পড়েন শরণখোলা অফিসে কর্মরত রতন তালুকদারসহ অন্য কর্মীরা। এছাড়া ওই প্রতারক এমডি সোলায়মান গ্রাহকদের মোবাইলে বর্তমানে ভুয়া মেসেজ দিয়ে বিভিন্নভাবে নতুন করে টাকা হাতানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করা হয় ওই সংবাদ সম্মেলনে। এ বিষয় সোলায়মানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: