ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কেশবপুরে পানিবন্দী দেড় শতাধিক পরিবার

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২৩ অক্টোবর ২০১৬

কেশবপুরে পানিবন্দী  দেড় শতাধিক  পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ভবদহের ¯ুøইস গেটের কার্যকারিতা লোপ পাওয়ায় এখনও অনেক গ্রাম থেকে জমে থাকা পানি নামেনি। ফলে কেশবপুরে বসতভিটায় ফিরতে পারেনি দেড় শতাধিক পরিবার। তারা কেশবপুর-পাঁজিয়া সড়কের পাশে টং-ঝুপড়ি বেঁধে বসবাস করছেন। শ্রী হরি নদীর উপচে আসা পানিতে আড়াই মাস আগে কেশবপুর, মনিরামপুর ও অভয়নগর উপজেলায় হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার রাজনগর বাঁকাবড়র্শি গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় প্রায় সবার বসতভিটায় এখনও পানি। ওই গ্রামের বিধবা জোহরা বেগম বলেন, বন্যায় বাড়ি ধসে গেছে। রোজগার করার কেউ নেই। তিন শিশুসস্তান নিয়ে কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। চেয়ারম্যান মেম্বাররা খোঁজ নেয় না। প্রতিবেশীর সাহায্য নিয়ে বেঁচে আছি। গ্রামে উঁচু মাচা তৈরি করে বসবাস করছেন রাশিদা বেগম। বন্যায় বাড়ি ছাড়েনি। তাই কোন সাহায্য মেলেনি। দিনমজুর আবুল কাদের বুকে জমাট বাঁধা সর্দিতে কাশতে কাশতে বলেন, বাড়ি পড়ে গেছে। মাঠ, বসতভিটা ডুবে আছে। ডাক্তার দেখানোর টাকা নেই। কোন ডাক্তার বা স্বাস্থ্য সহকারী আসেননি। রাস্তা বন্যার পানিতে ডুবে আছে। এলাকার মানুষ চলাচলের জন্য প্রায় ৬শ’ ফুট ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো তৈরি করে নিয়েছেন। গ্রাম থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে কেশবপুর-পাঁজিয়া সড়কের বাঁকাবড়র্শী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এখনও তারা টং-ঝুপড়ি বেঁধে বসবাস করছেন। টংঘরের বাসিন্দা শাহানাজ বেগম (৪২) বলেন, ঈদের পর একমাত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাঁচদিন আগে ১০ কেজি চাল আর চিড়া-গুড় দিয়ে গেছেন। এলাকার চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল বলেছেন, রাস্তায় যারা আছেন ওরা সাহায্য পাওয়ার আসায় গ্রামে ফিরছেন না। গ্রামের বসতভিটায় পানি রয়েছে কিভাবে ফিরবে জানতে চাইলে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ রায়হান কবির বলেন, এরকম সাহায্য বঞ্চিতদের খুঁজে তাদের সাহায্যের ব্যবস্থা করা হবে।
×