স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের সিএইচসিপি পদে লোক নিয়োগ দেয়া হলেও কমিউনিটি ক্লিনিক না থাকায় সাবেক ৩নং ওয়ার্ডের ছয় হাজার মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কয়েক বছর আগে এ ওয়ার্ডে সিএইচসিপি পদে জনবল নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু কমিউনিটি ক্লিনিক না থাকায় তাকে অন্য ইউনিয়নে কাজ করতে হচ্ছে। ফলে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিতে এ এলাকার সর্বস্তরের মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে জনসাধারণের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য গ্রামীণ পর্যায়ে ৬ হাজার লোকের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ফলে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়। কিন্তু এ উদ্যোগ গ্রহণের দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর অতিক্রম হলেও চরবানিয়ারী ইউনিয়নের সাবেক ৩নং ওয়ার্ডে এখন পর্যন্ত কোন কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়নি। ফলে এ এলাকার মানুষকে প্রতিনিয়ত প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করার জন্য পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডে অথবা চিতলমারী থানা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হচ্ছে।
এলাকার কামরুল মল্লিক, রুবেল রানা, গোড়া চাঁদ ঘোষ, গুরুপদ বৈরাগী, বিধান ম-ল, গোবিন্দ মজুমদার জানান, এ ওয়ার্ডে কমিউনিটি ক্লিনিক না থাকায় জনসাধারণকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক না থাকায় এ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিভিন্ন ধরনের প্রাথমিক সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল জানান, ৩নং ওয়ার্ডে কমিউিনিটি ক্লিনিক স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট জায়গা পেলে শীঘ্রই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ আলমগীর হোসেন জানান, চরবানিয়ারী ইউনিয়নের ৩ ওয়ার্ডে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের জন্য যদি কোন ভূমিদাতা ৮ শতক জায়গা দান করেন, তাহলে সেখানে দ্রুত ক্লিনিক স্থাপন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে এলাকাবাসীকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করতে হবে।