ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিরিয়ায় ২০১৫ সালেও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে সরকারী বাহিনী

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২৩ অক্টোবর ২০১৬

সিরিয়ায় ২০১৫ সালেও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার  করে সরকারী  বাহিনী

সিরিয়ার সেনাবাহিনী ২০১৫ সালে তৃতীয়বারের মতো রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। ইদলিব প্রদেশের কামেনাস গ্রামে গত বছরের মার্চে এই রাসায়নিক হামলা হয়েছিল। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছেন। তবে তারা ২০১৫ সালের মার্চে ইদলিব প্রদেশের বিন্নিশ ও ২০১৪ সালের এপ্রিলে হামা প্রদেশের কফর জিতা এলাকায় রাসায়নিক হামলার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করতে পারেননি। প্রতিবেদনটি শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করা হয়। খবর এএফপি ও বিবিসির। জাতিসংঘ নেতৃত্বাধীন জয়েন্ট ইনভেস্টিগেটিভ ম্যাকানিজম (জেআইএম) আগস্টে এক প্রতিবেদনে জানায়, সিরিয়ার সরকারী বাহিনী ২০১৪ ও ২০১৫ সালে কমপক্ষে দুটি রাসায়নিক হামলা চালায় এবং ইসলামিক স্টেট (আইএস) জিহাদীরা অস্ত্র হিসেবে মাস্টার্ড গ্যাস ব্যবহার করে। জেআইএমের চলমান তদন্তে মোট নয়টি রাসায়নিক হামলার তথ্য উঠে এসেছে। এর মধ্যে তিনটি সিরিয়ার সরকার ও একটি আইএস করেছে বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। জেআইএম ও অর্গানাইজেশন ফর দি প্রোহিবিশন অব কেমিক্যাল ওয়াপন্সের (ওপিসিডব্লিউ) যৌথ তদন্তের চতুর্থ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার আরব আর্মড ফোর্সের হেলিকপ্টার থেকে ইদলিবের কামেনাস গ্রামে ২০১৫ সালের ১৬ মার্চ একটি বোমা ফেলা হয় এবং বোমা থেকে বের হওয়া বিষাক্ত গ্যাসে জনগণের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্তকারীরা বলেছেন, হামলার সময় ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। দীর্ঘ ১৩ মাস ধরে এই তদন্ত চলে। এদিকে কফর জিতা ও বিন্নিশে রাসায়নিক হামলার জন্য দায়ী কে তা এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। ফলে জেআইএমকে তাদের তদন্ত সম্পন্ন করতে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। তবে এই দুই হামলার জন্য সিরীয় সরকারকের দায়ী করেছে। সিরীয় সরকার এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ায় মধ্যস্থতায় করা একটি চুক্তির অধীনে ২০১৩ সালে সিরিয়ায় তার সব রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করতে সম্মত হয়।
×