ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শেখ হাসিনার পাশে থাকার অঙ্গীকার বিদেশী অতিথিদের

বাংলাদেশই এখন উন্নয়নের রোল মডেল

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২৩ অক্টোবর ২০১৬

বাংলাদেশই এখন উন্নয়নের রোল মডেল

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থাকার জন্য অঙ্গীকার করলেন বিদেশী অতিথিরা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অতিথিরা বললেন, বাংলাদেশই এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতিতে আওয়ামী লীগের বিশেষ ভূমিকার কথাও স্মরণ করলেন তারা। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদবিরোধী অবস্থানকে স্বাগত জানিয়ে বিদেশী অতিথিরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের জননেত্রী। শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের অতিথিরা এমন অভিমত প্রকাশ করেন। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১২টি দেশের ৫৫ জন বিদেশী রাজনৈতিক দলের অতিথি হিসেবে যোগ দেন। এ সময় ১৭ জন বিদেশী অতিথি বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ভাইস মিনিস্টার ঝেং জিয়াওসং, কানাডার কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও সংসদ সদস্য দীপক ওভরাই, নেপালী কংগ্রেস নেতা রাম শর্মা মহাতো, অস্ট্রিয়ার সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সংসদ সদস্য ফুকস্, শ্রীলঙ্কার ধর্মমন্ত্রী এ এইচ এম হাশিম, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সহ-সভাপতি সাংসদ বিনয় প্রভাকর, ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সম্পাদক ও রাজ্যসভায় বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম নবী আজাদ, রাশিয়ার ইউনাইটেড পার্টির ডেপুটি সেক্রেটারি সের্গেই ঝেলেজনিয়াক এমপি, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ও সংসদ উপনেতা পার্থ চ্যাটার্জী, অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টি হিউ ম্যাকডার্মট, যুক্তরাজ্য লেবার পার্টির নেতা জেনি রাথবোন, ভুটানের তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী দীনা নাথ ডুনগেল, ইতালির ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সংসদ সদস্য খালিদ চাওকি, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য বিমান বসু, মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জরামথাংগা, অসম গণপরিষদের নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল কুমার মহন্ত ও ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির সংসদ সদস্য মাজেদ মেমন। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ভাইস মিনিস্টার ঝেং জিয়াওসং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আগামীতেও এই সম্পর্ক আরও গভীর হবে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বৈষম্য দূর করার নীতির জায়গা থেকে কাজ করছে। এই জায়গা থেকে দুই পার্টির নীতি একই ধরনের বলে তিনি মন্তব্য করেন। এই সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ওপর আরও গুরুত্ব দেয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। কানাডার কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও সংসদ সদস্য দীপক ওভরাই গণতন্ত্র ও উন্নয়নে আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সম্মেলনের বিদেশী অতিথি দীপক ওভরাই আরও বলেন, বাংলাদেশে তৃণমূল পর্যন্ত গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়েছে। এদিকটিই এদেশের টেকসই উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। কানাডা বাংলাদেশের পাশে ছিল, আছে থাকবে। অস্ট্রিয়ার সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সংসদ সদস্য ফুকস্ বলেছেন, জেন্ডার সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন, সারা পৃথিবীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বজুড়ে রোল মডেল। সম্মেলনের বিদেশী অতিথি মিসেস ফুকস্ বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালে ত্রিশ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন, ১৯৭৫ সালে নিহত হয়েছেন এ দেশের জাতির জনকসহ তার পরিবার এবং জাতীয় চার নেতা। তাদের রক্তে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নতির শিখরেই শুধু উঠছে না, বিশ্বের উন্নয়নেও নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের বিদেশী বন্ধু হিসেবে অস্ট্রিয়ার সাবেক চ্যান্সেলর ব্রুনো ক্রিয়েস্কিকে বাংলাদেশ সম্মাননা পদক দেয়ায় তার দেশ, দল এবং প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকার ও আওয়ামী লীগকে কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সহসভাপতি সাংসদ বিনয় প্রভাকর বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশেরই জননেত্রী নয়, তিনি ভারতীয় উপমহাদেশ তথা বিশ্বের জননেত্রী। বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিজেপির পক্ষ থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চান। তবে বাংলাদেশকে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। সে কারণে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে। আমরা আশা করি দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন ৫৪ নদীর পানিবণ্টনের বিষয়টিও সমাধান হয়ে যাবে। বিনয় প্রভাকর আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সীমান্তে কোন সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার কঠোর অবস্থানকে আমরা স্বাগত জানাই। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা ও রাজ্যসভায় বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম নবী আজাদ বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদবিরোধী লড়াইকে ভারতের জনগণ সম্মান করে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের কংগ্রেসের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে বলে তিনি জানান। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই দুই দলের সম্পর্কের ভিত্তি আরও মজবুত হয়েছে। রাশিয়ার ইউনাইটেড পার্টির ডেপুটি সেক্রেটারি সের্গেই ঝেলেজনিয়াক এমপি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ উচ্চগতিতে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সম্পর্কের ভিত ১৯৭১ সালের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছিল। সেই ভিত এখন আরও মজবুত হয়েছে। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা দিনে দিনে বাড়ছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামেও রাশিয়া ও বাংলাদেশ একযোগে কাজ করছে বলেও তিনি জানান। বাংলাদেশে আসতে পেরে তিনি খুব আনন্দিত ও সম্মানিত বলেও জানান সের্গেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ও সংসদ উপনেতা পার্থ চ্যাটার্জী বলেন, সোনার বাংলা তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। দেশের উন্নয়নে তার অবদান অনেক। তিনিই ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। তিনি আরও বলেন, দুই বাংলা ভূখ-ে আলাদা হতে পারে, তবে হৃদয় থেকে কখনও আমরা আলাদা হতে পারিনি। তাই সবসময়ই আমরা এক। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন, সবই আমাদের এক। তারাই আমাদের অনুপ্রেরণা। অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টির হিউ ম্যাকডার্মট বলেন, ১৯৭১ সালে যেখানে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানেই দাঁড়িয়ে আমি আজ ভাষণ দিচ্ছি। এটা ভেবেই আমি গর্ববোধ করছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে। এই বন্ধুত্ব আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। যুক্তরাজ্য লেবার পার্টির নেতা জেনি রাথবোন বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদি খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে আসছে যুক্তরাজ্য। ভবিষ্যতেও এসব খাতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। এছাড়া তিনি সম্মেলনের সফলতা কামনা করেন। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) পলিটব্যুরোর সদস্য বিমান বসু বলেন, উপমহাদেশে বাংলাদেশ ও ভারত একই ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। আমরা দুই দেশের মানুষে মানুষের মধ্যে দৃঢ় বন্ধন গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে জমির সীমানা নিয়ে সমস্যা ছিল, সেটা এখন মিটেছে। তবে পানিবণ্টন সমস্যা রয়ে গেছে। নদীর পানিবণ্টনে ভারতকে রাজি করাতে প্রয়োজনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য আহ্বান জানান তিনি। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নও জরুরী বলে তিনি মন্তব্য করেন। নেপালী কংগ্রেস নেতা রাম শর্মা মহাতো বলেছেন, বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নে, সন্ত্রাসবাদ দমনে, জঙ্গীবাদ নির্মূলে দক্ষিণ এশিয়া নেতৃত্ব দিচ্ছে। আপনারা এগিয়ে যাচ্ছেন, আপনারা এগিয়ে যাবেন বলেও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে এজন্য বাংলাদেশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। সম্মেলনের বিদেশী অতিথি রাম শর্মা মহাতো মনে করেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের মাধ্যমেই এগিয়ে যাবে দক্ষিণ এশিয়া। শ্রীলঙ্কার ধর্মমন্ত্রী এ এইচ এম হাশিম শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে সম্মেলনের সফলতা কামনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতিতে আওয়ামী লীগের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের ভূমিকার কথাও আমরা জানি। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার যে অংশীদারিত্ব দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাবেও বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ভুটানের তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী দীনা নাথ ডুনগেল বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের সফলতা কামনা করে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভুটান সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। ১৯৭১ সালেও ভুটান বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল বলে তিনি জানান। ইতালির ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সংসদ সদস্য খালিদ চাওকি বলেন, বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকারের সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদবিরোধী লড়াইয়ে পাশে রয়েছে ইতালি। দুই দেশই একযোগে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া ইতালিতে অনেক বাংলাদেশী সে দেশের কমিউনিটির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পৃথকভাবে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন ভারত ও চীনের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। বিদেশী অতিথিদের মধ্যে ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিই বেশি। আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্যসভা সাংসদ অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলী, জাতীয় কংগ্রেসের নেতা ও সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, মৌসুম নূর ও অভিজিৎ মুখার্জি, ফরওয়ার্ড ব্লকের দেবব্রত বিশ্বাস, ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি বিপ্লব কর দেব, অসম ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সর্বভারতীয় ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সবুর তপাদার, মনিপুর পিপলস পার্টির সভাপতি নংমেইকাপম শোভা কিরণ সিং, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ইয়ান ঝিবিন, জিয়া পেং ডি, কাও ঝিগাং এবং গাও মিন, যুক্তরাজ্যের কার্ডিফের সিটি কাউন্সিলর দিলওয়ার আলী, অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টির মানিনদেরজিৎ সিং, ইতালির ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির সদস্য ইউগো পাপি, ইউনাইটেড রাশিয়ার ভ্যালেরিয়া গোরোখোভা, রিপাবলিকান পার্টি অব রাশিয়ার আলেক্সান্ডার পোটাপভ। শ্রীলঙ্কার আইটিএকের নেতা শান্তি শ্রীকানদারসা, শ্রীলঙ্কান ফ্রিডম পার্টির নেতা জগৎ পুষ্পকুমারা প্রমুখ।
×