ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শরণখোলায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও এক প্রতারক

প্রকাশিত: ২৩:৪০, ২২ অক্টোবর ২০১৬

শরণখোলায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও এক প্রতারক

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের শরণখোলায় শত শত অসহায় নারী, পুরুষকে একটি বেসরকারী সংস্থায় দীর্ঘ মেয়াদী ডি.পি.এস, ফিক্সডিপোজিট সহ ভাগ্য উন্নয়নের প্রলোভন দেখিয়ে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে শরণখোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তেন এক জনাকীর্ন সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার রাজৈর এলাকার বাসিন্দা লাল মিয়া তালুকদারের ছেলে রতন তালুকদার এ অভিযোগ করেন। অভিযোগ, ২০০৯ সালে বাগেরহাট সদর উপজেলার অর্জুন বহার গ্রামের সত্তার হাওলাদারের পুত্র ঢাকাস্থ হালিমা সত্তার সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক পরিচয়দান কারী (প্রতারক এম. ডি) এম. সোলায়মান হোসেন শরণখোলা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় নারী পুরুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য তার সংস্থার মাধ্যমে ৫/৭/১০ বছর মেয়াদী ২০০/ ৫০০/ ১০০০/ ২০০০ টাকা সহ বিভিন্ন টাকার ডি.পি.এস ও ফিক্সডিপোজিট, সঞ্চয়, শিক্ষা, সামাজিক কার্যক্রম, স্বাস্থ্য সেবা, আইনি সহায়তা, যৌতুক প্রতিরোধ সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্যের মার্কেটিং এর কথা বলে রতনকে শরণখোলা অফিসের দায়িত্ব প্রদান করেন। গত ৭ বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৮ শতাধিক গ্রাহকের নিকট থেকে অর্ধ কোটি টাকার সঞ্চয় ও ডি.পি.এস ওই সংস্থার মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়। মাঠ পর্যায় থেকে উত্তালিত টাকা সংস্থার নিয়ম অনুসারে গ্রহণ করেন ওই প্রতারক এম. ডি সোলায়মান সমুদয় টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু অধিকাংশ গ্রাহকের ডি.পি.এস ও ফিক্সডিপোজিটের মেয়াদ কয়েক বছর পূর্বে শেষ হয়ে গেলে তাদের টাকা না দিয়ে নানা তালবাহানা শুরু করেন ওই প্রতারক। বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার তার সাথে শরণখোলা অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্তরা বৈঠক করলেও তিনি কোন টাকা পরিশোধ না করে উল্টো নানা ভয় ভীতি দেখান এবং অফিস বন্ধ করে দিয়ে তিনি সান লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর পরিচালক পদে যোগদান করেন। এতে গ্রাহকেদর রোষানলে পড়েন শরণখোলা অফিসে কর্মরত রতন তালুকদার সহ অন্যান্য কর্মীরা। এছাড়া ওই প্রতারক এম. ডি সোলায়মান গ্রাহকদের মোবাইলে বর্তমানে ভুয়া ম্যাসেজ দিয়ে বিভিন্ন ভাবে নতুন করে টাকা হাতানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করা হয় ওই সংবাদ সম্মেলনে। এ বিষয় সোলায়মানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।
×