ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বারমুডা ট্রায়্যাঙ্গেল-এর রহস্য সমধান করে ফেললেন বিজ্ঞানীরা?

প্রকাশিত: ২০:৫৬, ২২ অক্টোবর ২০১৬

বারমুডা ট্রায়্যাঙ্গেল-এর রহস্য সমধান করে ফেললেন বিজ্ঞানীরা?

অনলাইন ডেস্ক ॥ অবশেষে কি সমাধান হল বারমুডা ট্রায়্যাঙ্গেলের রহস্যের? বারমুডা ট্রায়্যাঙ্গেল নিয়ে তৈরি নানা মিথের সদুত্তর কি এ বার পাওয়া যাবে? এই সব প্রশ্নের নয়া সমাধান দিচ্ছেন এক দল বিজ্ঞানী। উত্তর আতলান্তিক মহাসাগরের পশ্চিম অংশের ত্রিকোণাকৃতি জায়াগায় বিভিন্ন সময় উধাও হয়ে গিয়েছে জাহাজ থেকে বিমান। ‘ডেভিলস ট্র্যাঙ্গল’ নিয়ে নিরন্তর গবেষণা করেও ‘কেন’র উত্তর পাওয়া যায়নি। যদিও এই রহস্য নিয়ে চলেছে বিস্তর আলোচনা। নানা ব্যাখ্যা। পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি। সেই রকমই আরও একটি নতুন ব্যাখ্যা সংযোজন করলেন বিখ্যাত আবহবিদ র্যা ন্ডি কারভ্যানি-সহ বেশ কিছু বিজ্ঞানী। তাঁদের দাবি, বারমুডা ট্রায়্যাঙ্গেলের রহস্যের পিছনে রয়েছে এক রকম ষড়ভুজাকৃতি মেঘ (হেক্সাগোনাল ক্লাউড)। উত্তর আতলান্তিক মহাসাগরের বারমুডা দ্বীপে ২০ থেকে ৫৫ মাইল জুড়ে ষড়ভুজাকৃতি মেঘ তৈরি করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বায়ু। যার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ মাইল। এই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বায়ুকে বলা হয় ‘এয়ার বম্ব’। এই বায়ু প্রায় ৪৫ ফুট উচ্চতার ঝড় তৈরি করতে পারে। যার ফলে বারমুডা ট্রায়্যাঙ্গেল দিয়ে যাওয়া জাহাজ বা প্লেন উধাও হয়ে যায়। কিন্তু উধাও হয়ে কোথায় তার শেষ ঠিকানা হয় সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা স্পষ্ট নন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বার্মুডা ট্রায়্যাঙ্গেল সম্পর্কে কিছু অবাক করা তথ্য।আটলান্তিক মহাসাগরের প্রায় ৪ লক্ষ ৪০ হাজার মাইল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে বার্মুডা ট্রায়্যাঙ্গেল যা মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের সম্মিলিত এলাকার চেয়েও বড়। বার্মুডা ট্রায়্যাঙ্গেলের কেন্দ্র কোনও নির্দিষ্ট স্থানে সীমাবদ্ধ নয়। এই ট্রায়্যাঙ্গেলের বাইরেও এর রহস্যময় প্রভাব বহু বার অনুভূত হয়েছে। বার্মুডা ট্রায়্যাঙ্গেলে হারিয়ে যাওয়া বিমান বা জাহাজের কোনও ধ্বংসাবশেষ আজ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই ত্রিকোণ রহস্যের মধ্যে পড়ে শেষ একশো বছরে অন্তত ১০০০ মানুষ হারিয়ে গিয়েছেন। অনেক মানুষ এখানে ‘বৈদ্যুতিন কুয়াশা’ও দেখেছেন বলে দাবি করেছেন। যার মধ্যে পড়ে একাধিক বিমানের র্যাতডার সংযোগ বেশ কিছু ক্ষণের জন্য বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন অনেক বিমানচালক। ১৯৪৫-এ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পাঁচটি মার্কিন বোমারু বিমান এই বার্মুডা ট্রায়্যাঙ্গেলে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। নিখোঁজ পাঁচটি বিমানের সন্ধানে আরও তিনটি বিমান পাঠানো হয়। ফোর্ট লডরডেলের বিমানঘাঁটিতে ফেরেনি এই বিমানগুলিও। ১৪৯২ সালে স্পেনীয় নাবিক এবং ভূপর্যটক ক্রিস্টোফার কলোম্বাস প্রথম এই বার্মুডা ট্রায়্যাঙ্গল সম্পর্কে লেখেন। তাঁর জাহাজের কম্পাসও বার্মুডা ট্রায়্যাঙ্গেলে অকেজো হয়ে যায়। সে যাত্রায় কোনও ক্রমে উদ্ধার পান তিনি। অসংখ্য রহস্যে মোড়া এই বার্মুডা ট্রায়্যাঙ্গলকে ‘ডেভিল্‌স ট্রায়্যাঙ্গল’ও বলা হয়। বার্মুডা ট্রায়্যাঙ্গেলে চৌম্বকীয় উত্তর দিকের পরিবর্তে প্রকৃত উত্তর দিক নির্দেশিত হয়, যা জাহাজের নাবিকদের বিভ্রান্ত করে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×