ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা

জালিয়াতির চেষ্টা ॥ ১৩ পরীক্ষার্থীর দু’বছর জেল

প্রকাশিত: ০৯:১১, ২২ অক্টোবর ২০১৬

 জালিয়াতির চেষ্টা ॥ ১৩ পরীক্ষার্থীর দু’বছর জেল

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের অধীনে ১ম বর্ষ সম্মান শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির চেষ্টা করায় ১৩ ভর্তিচ্ছুকে ২ বছর করে বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরের মোট ৮৭ কেন্দ্রে সকাল দশটা থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত ক ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। এই সময়ে ১১ কেন্দ্র থেকে উক্ত পরীক্ষার্থীদের আটক করা হয়। পরে আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র চাকমা পাবলিক পরীক্ষা আইন-১৯৮০ এর ৯ (খ) ধারা অনুযায়ী ২ বছর বিনাশ্রম কারাদ-ের আদেশ দেন। কারাদ-প্রাপ্তরা হলেন ইমরান খান সুজন, সাবিয়া ইসলাম নওরীন, আল ইমরান, আকাশ খন্দকার, জাহিদ হাসান, তারিক চৌধুরী, অবণী রায়, মাহমদুল হাসান তারেক, সাদমান ইয়াছির, আল আমিন, ইসতিয়াক আহমেদ ও জুলকার নাইন নির্ঝর, সঞ্চিতা রানী। আটক হলো ক্যামব্রিয়ান কলেজের আল ইমরান, উত্তরা মডেল কলেজের ইমরান খান শোভন, মাইলস্টোন কলেজের সাদিয়া ইসলাম নওরীন ও ফরিদপুরের ভাঙ্গার কে এম কলেজের আকাশ। আটক নওরীন বলেন, আমি ও আমার বান্ধবী সঞ্চিতা মাইলস্টোন কলেজে পড়তাম। সঞ্চিতা জালিয়াতি করে পরীক্ষা দিয়ে চলে গেছে। সে ধরা পড়েনি। আমার বাবার পরিচিত বোরহান উদ্দিন নামের এক লোকের সঙ্গে প্রশ্নের ব্যাপারে সাড়ে তিন লাখ টাকার চুক্তি করা হয়েছিল। আটক আল ইমরান বলেন, আমার বড় ভাই জবির মাস্টার্সের এক ছাত্রের মাধ্যমে সাড়ে চার লাখ টাকার বিনিময়ে জালিয়াতির ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী জানান, শুক্রবার সকালে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে জালিয়াতির অভিযোগে মোট ১৩ জনকে আটক করা হয়। পরীক্ষার সময় তারা মোবাইল ফোনের এসএমএস ও বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করছিল। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ১৩ জনকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছে। ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক জানান, প্রত্যেক কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ডিভাইস চেক করে প্রবেশ করানো হয়েছে।
×