ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিবিসি

ড্রোন-বিমান সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৭:৩৮, ২২ অক্টোবর ২০১৬

ড্রোন-বিমান সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়ছে

বেশকিছু বিমান পরিবহন সমিতি ইউরোপে ছোট ছোট সশস্ত্র ড্রোন নিবন্ধিত করার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলেছে যে দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়ানোর স্বার্থেই এমন পদক্ষেপ অবলম্বন করা প্রয়োজন। ব্রিটেনের সিভিল এ্যাভিয়েশন অথরিটি (সিএএ) জানায় যে প্রায় অল্পের জন্য ড্রোন ও বিমানের সংঘর্ষ হয়নি এমন ঘটনা বাড়ছে। এ বছর যুক্তরাজ্যে এমন সংঘর্ষ হওয়ার ঝুঁকির ১০টি ঘটনা ঘটেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট দশটি বিমান পরিবহন সমিতি সব ড্রোন নিবন্ধনের আহ্বান জানায়। এর মধ্যে ইউরোপিয়ান ককপিট এ্যাসোসিয়েশন এবং ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এ্যাসোসিয়েশনও আছে। সমিতিগুলো জানায় যে বিনোদনের উদ্দেশে ড্রোন ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। মানুষবাহী বিমানের সঙ্গে ড্রোনের সংঘর্ষ বা দুর্ঘটনার ঝুঁকি যে জড়িত সেটা অবশ্যই লাঘব হওয়া দরকার বলে মনে করে সমিতিগুলো। তাদের মতে ড্রোন নিয়ে নিরাপত্তার ঝুঁকিকে প্রায়ই খাটো করে দেখা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে আধ পাউন্ড (২২৮ গ্রাম) ওজনের বেশি যে কোন ড্রোন অবশ্যই নিবন্ধিত করতে হয়। তবে যুক্তরাজ্যের সিএএ ড্রোন নিবন্ধনের আহ্বানে যোগ দেয়নি। সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, আমাদের সার্বিক উদ্দেশ্য হলো সর্বপ্রথম আকাশে যে কোন ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে না দেয়া। নিবন্ধনের সুবিধা আছে ঠিকই। তবে ড্রোনের ব্যবহার যে নিরাপদ তা সুনিশ্চিত করার উপায় হিসেবেও নিবন্ধনকে কাছে লাগানো যেতে পারে। কিন্তু তাতে বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষের ঝুঁকি দূর নাও হতে পারে। ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ড্রোন নিবন্ধন করা ছাড়াও এই আহ্বান জানাচ্ছে যে ড্রোনে উচ্চতা ও দূরত্ব সীমিত রাখার সফটওয়্যার থাকতে হবে যাতে করে সেগুলো স্পর্শকাতর আকাশ পথে প্রবেশ করতে না পারে। এই ব্যবস্থাকে বলা হয় জিও ফেন্সিং। ডিজেআইসহ কিছু কিছু ড্রোন প্রস্তুতকারক ড্রোনে এমন প্রযুক্তি আগে থেকেই ব্যবহার করে আসছে। তবে এ ব্যাপারে সর্বজনীন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
×