ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে জঙ্গী অর্থায়ন

নজরদারিতে ১৭ এনজিও

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ২২ অক্টোবর ২০১৬

নজরদারিতে ১৭ এনজিও

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ধর্মভিত্তিক ১৭ বেসরকারী সংস্থাগুলো (এনজিও) জঙ্গী অর্থায়নসহ রাষ্ট্র বা সরকারের বিরুদ্ধে কোন কার্যক্রম পরিচালনা করছে কিনা সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার পাশাপাশি ওইসব এনজিও সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে বরিশালের পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। সূত্র মতে, যেসব এনজিও রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে সেগুলোর বিষয়েও তালিকা চাওয়া হয়েছে। অপরদিকে রহস্যজনক পাসপোর্টধারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর আজও রহস্যের জট খোলেনি। বরিশাল মেট্রোপলিটন (বিএমপি) ও জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ১৭ ধর্মভিত্তিক এনজিওকে নজরদারিতে রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অনুসন্ধান চালিয়ে সদর দফতরে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে। এর বাইরেও প্রভাবশালী এনজিওগুলোর বিষয়ে ১০টি সুনির্দিষ্ট তথ্য জানতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। সূত্রমতে, সিরিজ বোমা হামলা ও ঝালকাঠিতে দুই বিচারক হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ ওই সময় কয়েকটি এনজিওর আড়ালে নগরীতে অফিস ভাড়া নিয়ে জঙ্গী তৎপরতার তথ্য প্রমাণ পেয়েছিল। যদিও পরে সেইসব এনজিওর কর্মকর্তারা নগরী থেকে লাপাত্তা হয়ে গেছে। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দুর্গম পল্লীতেও পাওয়া গিয়েছিল জঙ্গী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যেখানে একজন প্রবাসী দামী গাড়ি নিয়ে বিশেষ পথে যাতায়াত করতেন। তাকে গ্রেফতারের অভিযান চালাতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য জঙ্গী প্রশিক্ষণের বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধার করেছিলেন। এসব এনজিও পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই আবার নতুন নামে সংস্থা বা সংগঠন তৈরি করেছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও মেট্রোপলিটনের বিশেষ শাখা এসব এনজিওর তথ্য সংগ্রহ করতে কাজ শুরু করেছে। নজরদারিতে থাকা ১৭ বেসরকারী সংস্থার নাম জানতে চাইলে বিএমপির মুখপাত্র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) ফরহাদ সরদার জানান, সব এনজিওই যে বরিশালে কাজ করে তা এখনও পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি। তিনি জানান, সারাদেশেই এ ১৭ এনজিওর কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়ে গত ১৬ অক্টোবর পুলিশ সদর দফতর থেকে বিশেষ পুলিশ সুপার (রাজনৈতিক) চিঠি পাঠিয়েছেন। ১৭ এনজিও হলোÑ রিভাইভেল অব ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটি (আরআইএইচএস), রাবেতা আল-আলাম আল-ইসলামি, সোসাইটি অব সোশ্যাল রিফর্মস, কাতার চ্যারিটেবল সোসাইটি, আল মুনতাডা আল-ইসলামি, ইসলামিক রিলিফ এজেন্সি, আল-ফারুকান ফাউন্ডেশন, ইন্টারন্যাশনাল রিলিফ অর্গানাইজেশন (আইআরও), কুয়েত জয়েন্ট রিলিফ কমিটি, মুসলিম এইড বাংলাদেশ, দার আল-খায়ের, হায়েতুল লাগছা, তাওহীদ-ই নূর, দাওয়াতুল কুয়েত, আল-হারমাইন ইসলামিক ইনস্টিটিউট, আল ফুজায়রা এবং খায়রুল আনসার আল-খাইরিয়া।
×