ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

উন্নয়নের মহাসড়কে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বে শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ২২ অক্টোবর ২০১৬

উন্নয়নের মহাসড়কে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বে শেখ হাসিনা

‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুলকে বাদ দিয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের কথা ভাবা যায় না। কিন্তু এদের সৃষ্টির ওপর বারবার আঘাত এসেছে। ভেবে অবাক হতে হয় কাজী নজরুলের কবিতার শব্দ পরিবর্তন করা হয়েছে। গানের শব্দ বদল করে রেডিওতে গান হয়েছে। বাংলার মানুষ বিশেষ করে ছাত্র ও তরুণ সম্প্রদায়কে আমাদের ইতিহাস এবং অতীত জানতে হবে। বাংলার যে ছেলে তার অতীত ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে না, সে ছেলে সত্যিকারের বাঙালী হতে পারে না।’ ১৯৭১ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কথাগুলো বলেছেন। প্রথম প্যারাটি তৎকালীন পাকিস্তান মিলিটারি শাসকগোষ্ঠীর কূপম-ূক মানসিকতার বিশ্লেষণ এবং দ্বিতীয় প্যারাটি স্বাধীনতা ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্বে প্রতিটি বাঙালী বিশেষ করে তরুণ সমাজকে, নিজেকে, দেশকে এবং জাতিকে চেনার পরামর্শ। বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য ধারণ করতেন। বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতিকে চিনতেন, জানতেন এবং বুঝতেন। বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ যখন গেয়ে ওঠেন : ‘তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও/ আমি এই বাংলার পারে রয়ে যাব/ দেখিব কাঁঠাল পাতা ঝরিতেছে/ ভোরের বাতাসে/ দেখিব খয়েরি ডানা শালিখের/ সন্ধ্যায় হিম হয়ে আসে/ ধবল রোমের নিচে তাহার হলুদ ঠ্যাং/ ঘাসে অন্ধকারে নেচে চলে/ একবার-দুইবার-তারপর/ হঠাৎ তাহারে বনের হিজল গাছ/ডাক দিয়ে নিয়ে যায় হৃদয়ের পাশে...” বাংলার এই শাশ্বত রূপ দেখেছিলেন কবি জীবনানন্দ দাশ। আর দেখেছিলেন বাংলার রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাইতো তিনিই কেবল দীপ্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করেন : ‘আমি বাঙালী, বাংলা আমার ভাষা, বাংলা আমার দেশ।’ এ কথা উচ্চারণ করেই ক্ষান্ত হননি। বছরের পর বছর জেল খেটেছেন, নির্যাতন সহ্য করেছেন, এই বাংলা বাঙালিত্ব এক মুহূর্তের জন্যেও ছাড়েননি বরং পাকিস্তানী শাসন নির্যাতন পদদলিত করে এগিয়ে গেছেন, বাঙালী জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। সবই করেছেন নিজ দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সাথে নিয়ে, বাংলার সর্বস্তরের জনগণের হৃদয় জয় করে। কিন্তু সাম্র্রাজ্যবাদ ও প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী রাতের অন্ধকারে জাতির পিতাকে হত্যা করে কিছু সময়ের জন্যে হলেও আওয়ামী লীগকে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। রক্ত কথা বলে। কন্যা শেখ হাসিনা এসে হাল ধরলেন এবং গত পয়ত্রিশ বছর ধরে পিতার মতোই বাংলার সর্বস্তরের মানুষের কথা বলতে গিয়ে কম নির্যাতন সহ্য করেননি। বঙ্গবন্ধুকে যেমন ফাঁসি দিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল, তেমনি তাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে একুশবার হামলা চালানো হয়। গৃহবন্দি থেকে কারাকক্ষ Ñএভাবে পিতার মতো তিনিও সকল নির্যাতন পদদলিত করে এগিয়ে চলেছেন, গোটা বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে এনে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। ॥ দুই ॥ এটি আজ প্রমাণিত আওয়ামী লীগ মানে বাংলাদেশ, আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। গত তিন যুগ ধরে বঙ্গবন্ধুর পাশে আরেকটি নাম কন্যা শেখ হাসিনা চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ বা ধরিত্রীর আদরের কন্যা। পিতা বাঙালীর জাতিরাষ্ট্র স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ উপহার দিয়ে গেছেন আর কন্যা সেই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে এক আধুনিক গণতান্ত্রিক ডিজিটাইজড বাংলাদেশ গড়তে গড়তে এগিয়ে চলেছেন। পেছনে রয়েছে বিশাল বাংলাজুড়ে গণমানুষের প্রিয় রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যা সুদীর্ঘ ছিষট্টি বছরের এক বর্ণাঢ্য গৌরবগাথা রচনা করে মজবুত ভিতের ওপর সাতষট্টিতে পা রাখল। প্রশ্ন আসতে পারে আওয়ামী লীগের দীর্ঘপথ পরিক্রমায় কেবল গৌরবগাথাই রচিত হয়েছে, কোন ব্যর্থতার গদ্য কি লেখা হয়নি? তা-ও হয়েছে, ‘আমরা আমাদের পিতার প্রাণ রক্ষা করতে পারিনি। এ ব্যর্থতা যেমন আওয়ামী লীগের তেমনি বাঙালীর স্বাধীন জাতিরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমার, আপনার, প্রশ্নকর্তার এবং বাংলার প্রতিটি নাগরিকেরও- যতকাল পদ্মা-যমুনা-গৌরী-মেঘনায় জোয়ার ভাটা বইবে, ততকাল এ দায় আমাদের বইতে হবে- এ আমার পাপ, তোমার আমার পাপ।’ আমরা জানি কি প্রেক্ষাপটে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল। তখন এই উপমহাদেশের চালচিত্রই বা কি ছিল? কি ছিল এর ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষিত। মাত্র ক’দিন আগে ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ছাড়লেও সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত হিসেবে তারা ভারতবর্ষকে দু’ভাগ করে দিয়ে গেল। বাংলাটাকেও দু’টুকরা করে চলে গেল। সাতচল্লিশের চৌদ্দ আগস্ট পাকিস্তান নামে এক ভাগ এবং পনের আগস্ট হিন্দুস্তান নামে জন্ম নিল আরেক ভাগ। আমরা বাঙালীরা পূর্ব পাকিস্তান নামে একটি ছোট ঘনবসতিপূর্ণ ভূমি পেলাম, যাতে অধিকাংশ মানুষ দিনরাত মেহনতি করে, রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ফসল ফলিয়েও পেট ভরে খেতে পায় না। বাঙালীরা বিশ্বখ্যাত সোনালী আঁশ পাট, মিষ্টি চা উৎপাদন করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে, সে মুদ্রা পশ্চিম পাকিস্তান গড়ার জন্যে নিয়ে যাওয়া হয়। পাকিস্তানের রাষ্ট্র ক্ষমতাও চলে যায় পশ্চিম পাকিস্তানী চরম বাঙালীবিদ্বেষী অবাঙালীদের হাতে। বাঙালীদের নির্ভরযোগ্য নিজস্ব কোন রাজনৈতিক দল বলতে তখনও এখানে ছিল না। পাকিস্তান আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান অংশের আনুগত্যও ছিল পশ্চিম পাকিস্তানী অবাঙালীদের প্রতি অনেক বেশি। এমনকি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের বাংলাভাষী নেতাদেরও। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওপর আলোকপাত করতে হলে এই ভূ-রাজনৈতিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটটি মনে রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আমলে একদিকে ফিল্ড মার্শাল আইয়ুবের ও ইয়াহিয়ার সামরিক শাসন এবং মুসলিম লীগের প্রতিক্রিয়াশীল নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশ স্বাধীন করেছেন। কন্যা শেখ হাসিনাও মিলিটারি জিয়া, এরশাদ ও হাফ মিলিটারি খালেদার মোকাবেলা করেই আজ বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে ঈর্ষণীয় করে তুলে এনেছেন। অর্থনীতির সব সূচকেই আজ বাংলাদেশ এ অঞ্চল শুধু নয়, বিশ্বের অনেক দেশকেই পেছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে। এখন জিডিপি ৭.০২%, খাদ্যে উদ্বৃত্ত, বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা ১৬ হাজার মেগাওয়াট, মাথাপিছু আয় ১৫ শত ডলার, রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন, গড় আয়ু ও শিক্ষার হার ৭০। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ, ডিজিটাল। নোবেল লরেট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর অমর্ত্য সেনের ভাষায় বাংলাদেশ সব সূচকে পাকিস্তানকে নিচে ফেলে দিয়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভারতকেও। বিশ্বব্যাংকের চীফ ইকোনমিস্ট বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীনের মতোই ‘টেক অপ’ করেছে। ॥ তিন ॥ এইতো একদিক। আরেকদিক হলো শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া ভিত্তির উপরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে স্থলসীমা, সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে নিরঙ্কুশ করেছেন। একইভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যার এবং একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতিকে পাপমুক্ত করেছেন। ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে পরীক্ষিত বন্ধু ভারত-রাশিয়া তো আছেই, একই সঙ্গে চীন ও মিয়ানমারের সাথে ভাল সম্পর্ক স্থাপন করে প্রমাণ করেছেন তিনিই সময়ের রাষ্ট্রনেতা, জাতির প্রকৃত কা-ারি। যে আমেরিকা, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে দাঁড়াতে দিতে চায়নি, আজ তারাই নিজ থেকে আসছেন, বিলিয়ন ডলার অফার করছেন। চীনের ঘোষণা তো আশাতীত। শেখ হাসিনা এমন পর্যায়ে তুলে এনেছেন, এখন মঙ্গা, দুর্ভিক্ষ যেমন অভিধান থেকে মুছে গেছে, তেমনি কারও জীবনেও নেই। অপর দিকে সবাই আসছে বিলিয়ন বিলিয়ন নিয়ে, মিলিয়ন উঠে গেছে। সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন নিয়ে হাজির হবে। ॥ চার ॥ বিশ্বব্যাপী আজ জঙ্গীবাদের উত্থান। ইন্টারনেট, সেলফোন বা ইউটিউবের সহজ লভ্যতায় দেশের এক শ্রেণী তরুণও প্রভাবিত হয়ে এখানে নাশকতা শুরু করেছিল। শেখ হাসিনার সরকার, পুলিশ, র‌্যাব, মিলিটারি, বিজিবি একযোগে কাজ করে তা দমন করেছে। নির্মূলও করা যেত, যদি না খালেদা জিয়া তার দল বিএনপি যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরকে প্রশ্রয়-পৃষ্ঠপোষকতা করত। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না আজ বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের যে বিষবৃক্ষটি ডালাপালা ছড়িয়ে গোটা বাংলাদেশকে আচ্ছন্ন করতে চাইছে তার চারাগাছটি রোপণ করেন মিলিটারি জিয়া আর তা লালন পালন করেন ও করেছেন মিলিটারি এরশাদ, হাফ-মিলিটারি খালেদা জিয়া। রাজপথে উঠতে না পেরে খালেদা জিয়া ও তার দল আজও জঙ্গীবাদের প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। কখনও আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে, কখনও তেঁতুল হুজুরের মাধ্যমে। তবে সবই শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বের কাছে পরাভূত হয়ে বেলুনের মতো চুপসে গেছে। তবে এখনও রোহিঙ্গা সঙ্কট কাটেনি, তিস্তা সংকটের মীমাংসা হয়নি। সামনে ২০১৯ এ সাধারণ নির্বাচন। ॥ পাঁচ ॥ এই প্রেক্ষাপটে শনিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দু’দিনব্যাপী জাতীয় কাউন্সিল শুরু হতে যাচ্ছে। সাতষট্টি বছরে কুড়িতম কাউন্সিল। আগেই বলেছি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ যেমন আছে তেমনি এবারের কাউন্সিলে দলের ভিত্তি অত্যন্ত মজবুত। আর এই মজবুত ভিতের কথা আগেই বলেছি। চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো দলের তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে জেলা-থানা পর্যায়ের নেতারা (সব নয়) প্রথমত পায়ের নিচের সরে যাওয়া মাটি ফেরত না আনতে পারলেও গু-া-পা-াদের দলে ভেড়াচ্ছেন। এমনকি জামায়াত-শিবিরকে পর্যন্ত কোলে টেনে নিচ্ছেন। এমনকি দলীয় পদ বিতরণ করছেন অর্থের বিনিময়ে। নেতারা কর্মীদের কাছ থেকে ঘুষ খান, এটি অবাক করার বিষয় নয়? দলীয় ছেলেমেয়েদের চাকরি না দিয়ে শিবিরকে চাকরি দিচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় তো গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকেই মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছেন। সরকার একটি ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে এমপি সাহেবরা সভাপতি হতে পারবেন না। আমি মনে করি নিশ্চয়ই তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে এই আইনটি করা হয়েছে। আইনটির দুর্বলতাও আছে এবং তা হলো এমপি সাহেবদের সুপারিশে কমিটি হবে। এর সুযোগে এমপি সাহেরাও এখন সুপারিশ করছেন তার নিকৃষ্টতম ব্যক্তিটির জন্য। শহরে মানুষ এ দিকটি বেশি ভাবে না, কিন্তু বিশাল গ্রামীণ জীবনে এটি মানুষ দেখে এবং জানে। ॥ ছয় ॥ শুনেছি এবার কেন্দ্রীয় কমিটি সাজানো হবে তরুণ নেতৃত্ব দিয়ে। আমি মনে করি এটি খুব ভাল উদ্যোগ। বঙ্গবন্ধু ছয়দফা থেকে যে তরুণ রাজনীতি করতে করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে নিজেদের পরিশীলিত করেছেন তারা এখন সত্তর এবং তার ওপরে। এ অবস্থায় ‘নিউ ব্লাড ইনজেক্টর’ করা জরুরী, এটা যেমন ঠিক, তেমনি তরুণ হলেই যোগ্য হবে ডাইনামিক হবে এমনটিও ঠিক নয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে অনেক ত্যাগী নেতা কাউন্সিল কার্ডও পাচ্ছেন না। তবে হ্যাঁ, অনেক সঙ্কট মোকাবেলা করে আজকের পর্যায়ে ওঠে আসা নেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা সঠিক রতœটিই বেছে নেবেন, এটি তৃণমূল কর্মীদের আশা ও বিশ্বাস। ঢাকা : ২১ অক্টোবর ২০১৬ লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব নধষরংংযধভরয়@মসধরষ.পড়স
×