ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দুই দেশের চার শিল্পীর প্রদর্শনী ‘কান্ট্রি উইদাউট বর্ডার’

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ২২ অক্টোবর ২০১৬

দুই দেশের চার শিল্পীর প্রদর্শনী ‘কান্ট্রি উইদাউট বর্ডার’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিল্পের নেই কোন সীমানা। সেই বোধে তাড়িত হয়েছেন দুই দেশের চার শিল্পী। সৃজনের বৈভবে সীমানা পেরুনো সেসব শিল্পকর্ম নিয়ে শুরু হলো প্রদর্শনী। শিল্পী ও শিল্পের মেলবন্ধনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীটির শিরোনাম ‘কান্ট্রি উইদাউট বর্ডার’। এতে অংশ নেয়া বাংলাদেশের দুই শিল্পী হলেন চারু পিন্টু ও এশা জাবিন। ভারতের শিল্পীদ্বয় হলেন পিনাকি আচার্য ও অশোক কুমার দে। প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে শিল্প-সাহিত্যের আন্তর্জাতিক সংগঠন কান্ট্রি উইদাউট বর্ডার’স। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের গ্যালারিতে সূচনা হয় প্রদর্শনীর। প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটার্নেটিভের (ইউডা) এর চারুকলা অনুষদের চেয়ারম্যান চিত্রশিল্পী অধ্যাপক শাহজাহান আহমেদ বিকাশ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকাবাহী মুক্তিযোদ্ধা মুহিবুল ইসলাম ইদু। সম্মানিত অতিথি ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মুস্তাফা, সাহিত্যপত্রিকা দ্রষ্টব্যর সম্পাদক কামরুল হুদা পথিক ও সাংবাদিক অঞ্জন রায়। সভাপতিত্ব করেন প্রদর্শনীর আয়োজক কান্ট্রি উইদাউট বর্ডার’স-বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক ঋষি এস্তেবান। উদ্বোধনী বক্তব্যে শাহজাহান আহমেদ বিকাশ বলেন, সব কিছুরই একটা সীমানা আছে। তবে মানুষের চিন্তা-চেতনার কোন সীমানা নেই। সেখানে সীমারেখা থাকার প্রয়োজনও নেই। আর বিশ্বের সৃজনশীল মানুষের এই সীমারেখাহীন চিন্তা-চেতনারই শিল্পকর্ম। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও ভারতের মোট চারজন শিল্পীর এই শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ভিন্নরকম গুরুত্ব বহন করে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুবুল হক শাকিল বলেন, সারা বিশ্বের চিত্রকলার ভাষা এক। যে কোন ভাষার মানুষই ছবি দেখে তার ভাল কিংবা মন্দ লাগার অনুভূতি প্রকাশ করে খুব সহজে। এ কারণেই শিল্পকর্মের ভাষা সর্বজনীন। সভাপতির বক্তব্যে ঋষি এস্তেবান বলেন, মানবসভ্যতাকে এগিয়ে নিতে হলে বিভিন্ন দেশের শিল্পী-সাহিত্যিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে সাংস্কৃতিক চর্চা চালিয়ে যেতে হবে। দেশে দেশে ভৌগোলিক সীমারেখা থাকলেও শিল্প-সাহিত্যের কোন সীমারেখা থাকতে পারে না। কিন্তু বাণিজ্যিক বিশ্বায়নের কারণে দীর্ঘদিন থেকেই সীমানা টেনে দেয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে সেই জায়গাটা ভাঙতে চাই। শিল্পী আর শিল্পের বাণিজ্যিক চিন্তাধারা থেকে বের হয়ে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন শিল্পীর শিল্পকর্মের সাথে এদেশের শিল্পীর শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর মাধ্যমে একটা যোগসূত্র তৈরি করতে চাই। সে লক্ষ্যের প্রথম ধাপ হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের দু’জন করে চার শিল্পীর শিল্পকর্ম নিয়ে এই প্রদর্শনীর আয়োজন। প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে প্রত্যেক শিল্পীর ১০টি করে চিত্রকর্ম। সব মিলিয়ে যুক্ত হয়েছে চার শিল্পীর ৪০চি চিত্রকর্ম। প্রদর্শনীটি চলবে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াতে বাংলা উৎসব ॥ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াতে ২০১৭ সালের ১৩-১৪ মে অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলা উৎসব’। শুক্রবার সকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাসের কনফারেন্সে রুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন আয়োজক সংগঠক বর্ণমালা শিক্ষাঙ্গনের অন্যতম কর্মী ও বাংলা উৎসব ২০১৭-এর সাংস্কৃতিক শিল্পী ও ব্যবস্থাপনা শাখার চেয়ারম্যান মৃদুল রহমান। ডিআরইউ শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসব ॥ নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ডিআরইউ শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসব। এতে অংশ নেয় সংগঠনের সদস্যদের সন্তানরা। তাদের অংশগ্রহণে শুক্রবার দিনব্যাপী এ সাংস্কৃতিক উৎসবে দেড় শতাধিক শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, সঙ্গীত ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতা শেষে বিকেলে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী শিশুদের পুরস্কৃত করা হয়। উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, প্রতিটি শিশুই মেধাবী ও সৃজনশীল। তাদের এই মেধা ও সৃজনশীলতাকে মানবিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধে গড়ে তুলতে হবে। ডিআরইউ সভাপতি জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী খুরশিদ আলম, বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক শেখ সাদি খান, চিত্রশিল্পী আবুল বারক্্ আলভী, মনিরুজ্জামান, ডিআরইউ’র সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। দিনব্যাপী প্রতিযোগিতা শেষে বিকেলে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী শিশুদের পুরস্কৃত করা হয়। আলিয়ঁসে শুভ্রা দেবনাথের সঙ্গীতসন্ধ্যা ॥ আলিয়ঁস ফ্রঁসেস দো ঢাকার মিলনায়তনে শুক্রবার সন্ধ্যায় কণ্ঠশিল্পী শুভ্রা দেবনাথের রবীন্দ্রসঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। কণ্ঠের মাধুর্যে বেশ কয়েকটি গান গেয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন শিল্পী।
×