ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রেট বেরিয়ার রিফ বাঁচাতে রোবট

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ২২ অক্টোবর ২০১৬

গ্রেট বেরিয়ার রিফ  বাঁচাতে রোবট

বৃহত্তম প্রবাল প্রাচীর অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট বেরিয়ার রিফের অস্তিত্ব রক্ষা নিয়ে পরিবেশবাদীরা অনেকদিন ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন। গত ৩০ বছরে প্রবাল প্রাচীরের প্রায় ৫০ শতাংশ ক্ষয়ে গেছে। তবে আশার খবর হলোÑ প্রবাল প্রাচীর রক্ষা করতে বিজ্ঞানীরা এখন একটি রোবট তৈরি করছেন। রোবো রিফ প্রটেক্টর নামের এই রোবটের কাজ হবে প্রবালের জন্য হুমকিগুলো নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা। গ্রেট বেরিয়ার রিফ ফাউন্ডেশন ও কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (কিউইউটি) যৌথ উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে রোবটটি। ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনা মার্সেডন বলেছেন, প্রকল্পের উদ্দেশ্য প্রবাল প্রাচীর দেখভাল করার পাশাপাশি এর ধ্বংস হয়ে যাওয়া অংশ উদ্ধারের বিষয়ে উপায় অনুসন্ধান করা। ১০ লাখের বেশি মানুষ নিজেদের জীবন ও জীবিকার জন্য সরাসরি প্রবাল প্রাচীরের ওপর নির্ভরশীল। -নিউজডটএইউ মিটার। ধারণা করা হচ্ছে, লাতিন আমেরিকা থেকে ডাইনোসরগুলো অস্ট্রেলিয়ায় এসে থাকতে পারে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, বৈরী আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে এখন থেকে ৬৬ কোটি বছর আগে পৃথিবী থেকে ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সায়েন্টিফিক রিপোর্টসে আবিষ্কারের খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। Ñএএফপিবেশির ভাগ খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঋণ পুনঃতফসিলে বিশেষ সুবিধা দিতে একই বছরের ২৩ ডিসেম্বর সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে ডাউন পেমেন্ট গ্রহণের শর্ত শিথিল ও ঋণের যৌক্তিক মেয়াদ ঠিক করা এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনাপত্তি নেয়ার শর্ত দেয়া হয়। এরপর ব্যাংকগুলো ঋণ পুনঃতফসিলের প্রতিযোগিতায় নামে। ওই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার খেলাপী ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়। এ সময় প্রায় সাত শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে খেলাপীর তকমা থেকে রেহাই দেয়া হয়। পরে ৫০০ কোটিরও বেশি ঋণ রয়েছে এমন বড় শিল্প গ্রুপগুলোর পক্ষ থেকেও খেলাপী ঋণ পুনর্গঠনে বিশেষ ছাড় দিতে চাপ সৃষ্টি করা হয়। গত বছরের জানুয়ারি মাসে এ সংক্রান্ত বিশেষ সুবিধা দিয়ে আরেকটি নীতিমালা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই নীতিমালার নামমাত্র ডাউন পেমেন্টে খেলাপী ঋণ পুনর্গঠনের সুযোগ দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, নিয়ন্ত্রক হিসেবে সবপক্ষের সুবিধা বিবেচনা করে তারা যে কোন নীতিমালা প্রণয়ন করেন। তবে যে কোন কিছুর ক্ষেত্রে একটি সীমা নির্ধারণ করতে হয়। এ ক্ষেত্রেও তেমনটি করা হয়েছে। এর আগে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিবেচনায় বিশেষ সুবিধায় ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান, দেশীয় বাজার যাচাই ও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার আলোকে ৫০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ থাকা গ্রাহকদের এ ধরনের সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ঋণ পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার ওপর পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১৬টি শিল্প গ্রুপের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকে ১৫ হাজার ৭১০ কোটি টাকা পুনর্গঠনের আবেদন আসে। তবে এর মধ্যে ৬টি গ্রুপের এককভাবে ব্যাংক খাতে সম্মিলিত ঋণ ৫০০ কোটি টাকার কম হওয়ায় প্রাথমিক বাছাইয়ে তা বাতিল করা হয়। আর ১০টি গ্রুপের ১৪ হাজার ৫৪১ কোটি টাকার প্রস্তাব যাচাই করে অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে। এরই মধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপের ১ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা, যমুনা গ্রুপের জনতা ব্যাংক থেকে পাঠানো ৫৯৮ কোটি ৮ লাখ টাকা এবং রতনপুর গ্রুপের পক্ষে জনতা ব্যাংক থেকে পাঠানো ৬৮৮ কোটি ৪৫ লাখ ও সোনালীর ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। অন্য প্রস্তাবগুলো অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুতে আবারও খেলাপী ঋণ পুনঃতফসিলে ব্যবসায়ীদের ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত আরও দুই শতাধিক আবেদন বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা পড়েছে। সূত্র জানায়, ইব্রাহীম গ্রুপ কয়েকটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩৪০ কোটি টাকার ঋণ পুনর্গঠনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করে। আবুল হোসেন গ্রুপের পক্ষে আবেদন আসে ৪৯৭ কোটি টাকার ঋণ পুনর্গঠনের জন্য। দুটি আবেদনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদা অনুযায়ী সব ডকুমেন্ট দেয়া হয়। তবে ঋণ ৫০০ কোটি টাকার কম হওয়ায় তা বিবেচনা করা হয়নি। এ ধরনের অনেক প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করলেও তারা এ সুবিধা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতে গেছেন। এসব উদ্যোক্তা বলছেন, যেসব ক্ষতির জন্য ঋণ পুনর্গঠনের সুবিধা দেয়া হয়েছে, তারাও ওই ধরনের ক্ষতির শিকার হয়েছেন। বড় উদ্যোক্তারা সুবিধা পেলে তাদেরও তা প্রাপ্য। আর ক্ষতি পোষানোর সক্ষমতা ছোটদের তুলনায় বড়দের বেশি থাকে। ফলে বড় গ্রুপের চেয়ে তাদের ঋণ পুনর্গঠনের প্রয়োজন বেশি। প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৫০০ কোটি টাকার কম থাকা উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৩০০ রিট দায়ের হয়েছে। এ পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র ৬টি রিট। ঋণ পুনর্গঠনের সুবিধার জন্য উচ্চ আদালতে প্রথম রিটটি গত বছরের ২২ মার্চ দায়ের হয় গাজীপুর পেপার বোর্ডের পক্ষে। এরপর বিভিন্ন সময়ে খানসন জুটেক্স লিমিটেড, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, সামান্নাজ সুপার অয়েল, এসএ অয়েল লিমিটেড, এমএস সুইটার হোল্ডেন, শাহ আমানত সিটিজেন টেক্সটাইল, সাউথ ইস্টার্ন অয়েল রিফাইনারিসহ কয়েক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এসব রিট দায়ের করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ বিবেচনায় ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ দেয়া হয়েছে, যাতে খেলাপী ঋণ কমে আসে। খলাপী ঋণ কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জোর তদারকি অব্যাহত আছে। ব্যাংকগুলোও খেলাপী ঋণ কমানোর জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে কাজ করছে। তবে ৫০০ কোটি টাকার কম ঋণ রয়েছে এমন ব্যবসায়ীদেরও বিভিন্ন সুবিধা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। ঋণ পুনঃতফসিলের বিষয়ে
×