ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মকবুল আহমাদের যুদ্ধাপরাধ অনুসন্ধান শুরু

প্রকাশিত: ০৮:১২, ২১ অক্টোবর ২০১৬

মকবুল আহমাদের যুদ্ধাপরাধ অনুসন্ধান শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জামায়াতের নতুন আমির মকবুল আহমাদের যুদ্ধাপরাধ অনুসন্ধানে নামছে আইসিটির তদন্ত সংস্থা। বৃহস্পতিবার নূরুল ইসলামকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। জামায়াতের নতুন আমির মকবুল আহমাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের খবর প্রকাশের বিষয়ে তদন্ত সংস্থা প্রধান আব্দুল হান্নান খান বলেন, মকবুল আহমাদ রাজাকার ছিল, সেটা ওই এলাকার তালিকায় রয়েছে। এটা ঠিক। এতদিন আমাদের কাছে কোন সুনির্দিষ্ট তথ্যউপাত্ত ছিল না। এখন অন্তত দুটো সুনির্দিষ্ট ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব বিষয়ে অনুসন্ধান করা হবে। ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী অঞ্চলের মুুক্তিযোদ্ধারা বলেছেন, একাত্তরে মকবুল ছিলেন ফেনীর দাগনভূঞার শান্তি কমিটির শীর্ষ নেতা। বহু হত্যার নির্দেশদাতা, অসংখ্য হিন্দুর বাড়িঘর তার নেতৃত্বে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ একাত্তরের এই ঘৃণিত রাজাকারের অবিলম্বে বিচার দাবি করেছেন। মকবুল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় শান্তি কমিটির অন্যতম নেতা ও রাজাকার কমান্ডার ছিল বলে অভিযোগ এনেছেন ফেনী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর আবদুল হান্নান, দাগনভূঞা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উপজেলা কমান্ডার শরিয়ত উল্যাহ বাঙ্গালীসহ মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর আবদুল হান্নান বলেছেন, একাত্তরে তারই নির্দেশে ফেনীর স্থানীয় রাজাকার, আলবদর বাহিনীর সদস্যরা ফেনী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনকে চট্টগ্রামে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। দাগনভূঞা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শরিয়ত উল্যাহ বাঙ্গালী অভিযোগ করেন, মকবুল আহমাদের নির্দেশে দাগনভূঞার জয়লস্কর ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের হিন্দুপাড়ায় আগুন দিয়ে ১০ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। মকবুল ছিল এ অঞ্চলের শান্তি কমিটির অন্যতম শীর্ষ নেতা। বহু হত্যাকা- হয়েছে তার নির্দেশে। তদন্তসাপেক্ষে অবিলম্বে মকবুল আহমাদের বিচার দাবি করেন তিনি।
×